Logo
Logo
×

সারাদেশ

৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই স্থানে দুই ট্রেন লাইনচ্যুত

Icon

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১০:৩৭ এএম

৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই স্থানে দুই ট্রেন লাইনচ্যুত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা রেলগেট এলাকায় শুক্রবার রাতে লাইনচ্যুত হয় মালবাহী ট্রেনের বগি। এতে করে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। লাইনচ্যুতির প্রায় পৌনে ৭ ঘণ্টা পর শনিবার ভোর ৫টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে এর ঘণ্টাখানেক পর ফের একইস্থানে লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। পরের বার হয়েছে আন্তঃনগর ট্রেনের লাইনচ্যুতি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুই দফায় প্রায় ১০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়।’

শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ৬০৩ নম্বর মালবাহী ট্রেনের একটি বগি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে পৈরতলা রেল ক্রসিংয়ের সামনে লাইনচ্যুত হয়। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। ভোরে পৌনে ৫টার দিকে বগিটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দুর্ঘটনার কারণে তুর্ণা, নিশিথা, উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম মেইলসহ বিভিন্ন ট্রেন আটকা পড়ে। এতে যাত্রীদেরকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। তবে ভৈরব ও আশুগঞ্জ স্টেশনে যাত্রীদেরকে শুকনো খাবার এবং পানি দিয়ে আপ্যায়ন করে রেল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, শনিবার সকাল ৬টার দিকে পৈরতলা রেল ক্রসিংয়ের ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটির পিছনের দিকের গার্ডব্র্যাক লাইন থেকে সরে যায়। গার্ডব্র্যাক রেখে কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে চলে যায়। পরে বগিটি উদ্ধার করে সরিয়ে নেওয়া হয়। বেলা পৌনে ৯টার দিকে ডাউন লাইনে ফের চলাচল শুরু হয়। তবে পরবর্তী দুর্ঘটনার পর আপ লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

স্টেশন মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী ট্রেনের বগিটি উদ্ধার কাজ শেষ হয়। এরপর লাইন ক্লিয়ার হলে ভোর ৫টা থেকে আপ ও ডাউন লাইনে রেল চলে। কিছুক্ষণ পর একইস্থানের ডাউন লাইনে কক্সবাজার এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ট্রেন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম