Logo
Logo
×

সারাদেশ

খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

Icon

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম

খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ভেদ্রা খাল। প্রবাহমান এ খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকসহ প্রভাবশালী ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় প্রশাসন। কাজ বন্ধের নির্দেশও দেয়। তবে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রভাবশালীরা। এতে করে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষের দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, পালরদী নদীর সংযোগস্থল থেকে সৃষ্ট হয়ে পিঙ্গলাকাঠী বাজারের ভেতর দিয়ে গিয়ে চার কিলোমিটার এলাকায় ভেদ্রা খাল প্রবাহিত হয়েছে। এ খালের উভয় পাড়ে ছয় থেকে সাতটি বোরো ব্লক রয়েছে। এসব ব্লক থেকে ফসলি জমিতে সেচ দেওয়া হয়।

ছয় মাস আগে পিঙ্গলাকাঠি বাজার এলাকায় প্রায় ১২০-১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০-২৫ ফুট প্রস্থ পর্যন্ত সরকারি খাল দখল করেন কলেজ শিক্ষক কামাল হোসেন, মাদ্রাসা শিক্ষক জসিম হাওলাদার, রিপন শিকদার, খোকন বেপারী, কামাল বেপারী ও মো. আসাদুল্লাহ। তারা অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসরে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খালের ভেতরে থাকা স্থাপনার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। দখলদাররা ১৫ দিন আগে আবারও ওই নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দখলের ফলে খালের পানি প্রবাহ কমে যাবে। দেওয়া যাবে না সেচ। এতে করে বিপাকে পড়বে কৃষকরা। একইসঙ্গে বর্ষার সময় দেখা দিবে জলাবদ্ধতা।

এ বিষয়ে নলচিড়া ইউনিয়ন (তহলীল) ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আব্বাস আলী বলেন, ‘বিএস রেকর্ডে ওই খালটি খাস খতিয়ানে রেকর্ড রয়েছে। দখলের খবর পেয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। প্রশাসনের নিষেধ উপেক্ষা করেই প্রভাবশালী দখলদাররা সরকারি খালের ভেতর অবৈধ পাকা স্থাপনার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো, রাজীব হোসেন বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। প্রশাসনের বাধা উপেক্ষে করে কোনো ব্যক্তি যদি সরকারি খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে ওই খালের জমিকে নিজেদের বলে দাবি করছে অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার মালিকানাধীন জমিতে স্থাপনার নির্মাণ কাজ চলছে। আমরা ছয়জনই নির্মাণাধীন স্থাপনার জমির মালিক। সরকারি খালের ভেতরে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়নি।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম