Logo
Logo
×

সারাদেশ

ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বিএনপির সাবেক এমপির হুমকি

Icon

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম

ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বিএনপির সাবেক এমপির হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগী তরুণীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এমপি ও বরিশাল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের বিরুদ্ধে। 

বাকেরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে করা এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তোফাজ্জেলও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। 

শনিবার দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ শহরের বাসিন্দা ভুক্তভোগী তরুণী নিজেই এ অভিযোগ করেন। 

এ সময় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা প্রদান, অভিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার, আসামি গ্রেফতারসহ হুমকিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। 

অভিযুক্ত বরিশাল-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবুল হোসেন খান জানিয়েছেন, মিমাংসার জন্য ওই তরুণীসহ পরিবারকে খবর দিয়ে বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন। তাদের কোনো হুমকি দেননি।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, বাকেরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার (তরুণী) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে প্রতারণার শিকার হয়ে আমি গত ২২ জানুয়ারি বাকেরগঞ্জ থানায় রুহুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করি। এ মামলার চারমাস পার হলেও আসামিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। 

এদিকে গত ৭ মে সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান আমি ও আমার মাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। সেই রাতে সেখানে থানার নবাগত ওসি আবুল কালাম আজাদ এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তোফাজ্জেল ছিলেন। 

সাবেক এমপি আমার কোনো কথা না শুনেই বলেন, তুলে না নিলে সকালে মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দেবেন। এরআগেও বাকেরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জোমাদ্দার ও ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি শেখ মাহমুদুর রহমান রিমন আমার বাড়িতে গিয়ে মামলাটি তুলে নিতে হুমকি দিয়েছিলেন। 

তাই তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের আইজিপি, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান বলেন, হুমকি নয়। ওই মেয়ে ও তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিয়ে আমার বাসায় ডেকে এনেছিলাম। তখন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য বলা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম