|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। জমিটিতে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। তবে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেই জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছেন বিএনপি নেতা। ঘটনাটি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. নুর উদ্দিন ইউনিয়ন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক
সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী।
জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ নোয়াখালী সদর অতিরিক্ত প্রথম আদালতের সহকারী
বিচারক নিশি আক্তার বিরোধপূর্ণ জমিতে কোনো পক্ষই যাতে স্থাপনা নির্মাণ এবং প্রকৃতি
পরিবর্তন না করতে পারে তা পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য কবিরহাট থানাকে আদেশ দেন। আদালতের
নির্দেশে কবিরহাট থানার একজন কর্মকর্তা সরেজমিন গিয়ে নুর উদ্দিনকে এ সংক্রান্ত একটি
চিঠি দেয়। তবে চিঠি পাওয়ার পর রাতের আঁধারে ওই বিএনপি নেতা বিরোধপূর্ণ জমিটিতে স্থাপনা
নির্মাণ করেন।
আদালতের আদেশ অমান্য করায় নুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি লিখিত প্রতিবেদন
দেয় কবিরহাট থানার এসআই বিপ্লব বড়ুয়া। এতে বলা হয়, আদালতের আদেশের বিষয়টি লিখিতভাবে
বিবাদীকে জানানো হলেও তিনি তা মানেননি। বিরোধপূর্ণ নলুয়া মৌজার ৩৮৫নং খতিয়ান ভুক্ত
২৬০১/৯০ দাগে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নলুয়া গ্রামের ল্যাংড়ার দোকান
এলাকার একটি কাঁচা সড়কের পাশের একটি নিচু জমির কিছু অংশ ভরাট করে সেখানে বহুতল ভবন
তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। ভবনে লাগানো হয়েছে দরজা ও জানালা। পাশের জমিতে একটি সেফটি ট্যাংকও
তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ভবনের ভেতরে ও বাহিরে ইলেকট্রিকের কাজ চলছে।
বিরোধপূর্ণ জমিটির মালিকানা দাবি করা সামছুল হক বলেন, ‘১৯৯০ ও ১৯৯৫ সালে
দুবারে দুই একর ৫০ শতাংশ জমি কিনি। এরপর থেকে জমিটি ভোগদখল করে আসছি। ২০১৮ সালে নুর
উদ্দিন জমিটি তার বলে দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিলে নুর
উদ্দিন কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তখন থেকে এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।’
আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখার বিষয়ে জানতে
চাইলে নুর উদ্দিন তা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার পাঁচটি রায় ডিক্রি আছে। আমার রায় ডিক্রির
বিরুদ্ধে তাদের কোনো কাগজপত্র নেই। উনারা শুধু খতিয়ানে মালিক।’
এ বিষয়ে কবিরহাট থানার ওসি মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা
অনুযায়ী থানা থেকে পুলিশ গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করেছে। উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখাতে
নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু মামলার বিবাদী নুর উদ্দিন আদালতের আদেশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ
জমিতে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখেন। যার সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে আদালতকে
অবহিত করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
