জোরপূর্বক কালভার্ট ভাঙলেন চেয়ারম্যান, ১৪৪ ধারা জারি
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান লিটন (৫০) কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে জোরপূর্বক কালভার্ট ভাঙার অভিযোগে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অলংকারী ইউনিয়নের অলংকারী গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়া (৪৫) ও অপরপক্ষ হাজী তৈমুছ আলীর (৬৫) বাড়ির দক্ষিণ পাশে কালভার্ট ভাঙা স্থানে ওই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
গত ১৩ মে ওই স্থানে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারির জন্য সিলেট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দরখাস্ত করেন সুলতান মিয়া (৪৫)। জোর করে কালভার্ট ভাঙার অভিযোগ এনে দরখাস্তে অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটনকে প্রধান অভিযুক্ত করে অলংকারী গ্রামের হাজী তৈমুছ আলী (৬৫), আইয়ব আলী (৫৫) ও আব্দুল খালিকসহ (৪৫) আরও ৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার বাবা ও চাচারা জীবদ্দশায় ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গার ওপর বাড়ির লোকজন চলাচলের জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ করেন। গত ৮ মে সকাল ৯টায় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অন্যান্য বিবাদীরা জোরপূর্বক ওই কালভার্টটি আংশিক ভেঙে দেয়। বর্তমানে তারা অন্যায়ভাবে আমাদের মৌরশী সম্পত্তির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা ও সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে আসছে। তাই আদালতে সুলতান মিয়া এ অভিযোগ দাখিল করলে আদালত সেখানে ১৪৪ ধারা জারির জন্য আদেশ দেন।
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন কালভার্ট ভাঙার কথা অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয়দের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমি সেখানে একটি বড় সেতু নির্মাণের জন্য এডিপি থেকে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ এনেছি। তাই সেখানে থাকা ছোট কালভার্টটি ঠিকাদার ভেঙেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে হাজী তৈমুছ আলী বলেন, ভাঙা কালভার্টটি তাদের বাবা ও চাচারা করেছেন; কিন্তু এই কালভার্ট দিয়ে চলাচলে অসুবিধা হওয়ায় তারা সেখানে বড় একটি সেতু করে দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে আবদার করেন। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে সবার স্বার্থে চেয়ারম্যান সেখানে সেতু করার উদ্যোগ নিয়ে এই ছোট কালভার্ট ভেঙেছেন।
