Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাটহাজারীর নিজ গ্রামে ড. ইউনূস

বঅত দিন পর গ্রামত আসিদ্দি, ছোড বেলায় এডেই আছিলাম

Icon

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১০:৪২ পিএম

বঅত দিন পর গ্রামত আসিদ্দি, ছোড বেলায় এডেই আছিলাম

‘বঅত দিন পর গ্রামত আসিদ্দি। ছোড বেলায় এডেই আছিলাম। এডে ওগগো বট গাছ আসিলো; বট গাছর নিচে আড বইসতো, তহন আডত আইসতাম। ছোড বেলার স্রিতি বিয়াগগিন মনত পরের। এনডে আই ক্লাস থ্রি পর্যন্ত মহাজইন্নে বাপর ইস্কুলুত পরালেখা গইজ্জি। ইয়ার পরে আর বাপে আরে শঅরত লইগেইয়িগুই। তারপর আর সব পরালেখা শরত।’

অর্থাৎ বহুদিন পর গ্রামে এসেছি। ছোটবেলা এখানে ছিলাম। ছোটবেলার সবকিছু এখনও মাথায় রয়ে গেছে। এখানে একটি বটগাছ ছিল; বটগাছের তলে হাট বসতো, তখন হাটে আসতাম। ছোটবেলার সব স্মৃতি মনে পড়ছে। এখানে ক্লাস থ্রি পর্যন্ত মহাজন বাপের স্কুলে পড়াশোনা করেছি। এরপর আমার বাবা আমাকে শহরে নিয়ে যায়। তারপর সব লেখাপড়া শহরে।

বুধবার বিকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে দীর্ঘ ১৮ বছর পর বাপের ভিটায় পা রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার নিকটাত্মীয় ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময়কালে চাটগাঁইয়া (চট্টগ্রামের) ভাষার এসব কথা বলেন।

এর আগে বিকাল ৪টা ৫৮ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা তার বাপের ভিটা হাজী মোহাম্মদ দুলা মিয়া সওদাগর বাড়িতে এসে পৌঁছান। সেখানে তিনি ২৩ মিনিটের মত সময় অতিবাহিত করেন। এরপর বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি তার পিতামহ হাজী মোহাম্মদ নজু মিঞা সওদাগর বাড়ির অদূরে নূরালী বাড়ি উপ-ডাকঘর সংলগ্ন কবরস্থানে শায়িত দাদা-দাদির করব জেয়ারত করেন।

তারপর প্রায় ৭ মিনিটের মত নিকটাত্মীয় ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করে বিদায় নেন তিনি। 

ড. ইউনূস

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম