Logo
Logo
×

সারাদেশ

ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষক, জুতারমালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, ভোলা

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম

ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষক, জুতারমালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় এক শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করেন স্থানীয় জনতা। পরে ওই শিক্ষককে জুতারমালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বোরহানউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রক্তিম চন্দ্র শর্মার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার সকালে বোরহানউদ্দিন পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বুধবার দুপুরে পৌরসভার হাওলাদার মার্কেটে শিক্ষক রক্তিম শর্মার মালিকাধীন শর্মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে উত্তেজিত জনতা ওই শিক্ষককে জুতারমালা পরিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিচার দাবি ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

শিক্ষক রক্তিম শর্মা উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সত্য হরি শর্মার ছেলে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার গণিত বিভাগের শিক্ষক রক্তিম চন্দ্র শর্মা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে হাওলাদার মার্কেটে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেন। বুধবার সকালে এক মুসলিম ছাত্রী একাই তার কম্পিউটার সেন্টারে যান। দীর্ঘ সময় পর ওই ছাত্রীসহ তিনি রিকশায় করে বাজারে গিয়ে ফুল ও বিরিয়ানি আনেন।

ওই সময় স্থানীয়রা ওই কম্পিউটার সেন্টারে গিয়ে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থা দেখতে পান। এরপর তাদের ওই কম্পিউটার সেন্টারের ভেতর আটক করে রাখেন। এ সময় ট্রেনিং সেন্টারের ভেতর জন্মনিরোধ সামগ্রীসহ অন্যান্য উপকরণ পাওয়া যায়।

পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিচারের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। উত্তেজিত জনতা শিক্ষক রক্তিম শর্মাকে জুতারমালা পরিয়ে পুলিশভ্যানে তুলতে বাধ্য করেন। পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও উত্তেজিত জনতা মারধর করার চেষ্টা করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, ওই শিক্ষক এর আগেও এরকম একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে পার পেয়ে যান। তাই তারা এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খালেদা খানম বলেন, এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্তসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তের জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছাত্রী শিক্ষক ভোলা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম