এবার শেখ মুজিবের সেই ভাস্কর্য ভাঙল ছাত্র-জনতা
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
রাঙামাটিতে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য, ছবি- যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের নয় মাস পর ভাঙা হলো রাঙামাটিতে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে একদল ছাত্র-জনতা এ কর্মসূচি পালন করেন।
শুক্রবার বিকাল থেকে ভাস্কর্যটি ভাঙতে শুরু করেন তারা। তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকেও তা শেষ করা যায়নি।
এর আগে ১৩ মে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে রাঙামাটিতে ফ্যাসিবাদের মূর্তি অপসারণের জন্য রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন তারা। এর মধ্যে জেলা পরিষদ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভাস্কর্যটি ভাঙলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা।
জানা যায়, এতদিন পলিথিন কাগজে মোড়ানো ছিল ভাস্কর্যটি। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের পাশে শহরের সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় ২০১৩ সালে বিশাল আকৃতির এ ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল। তবে কাজ শুরু হয় ২০১০-১১ অর্থবছরে। প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
শুক্রবার বিকালে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের ভেদভেদী বাজার থেকে মার্চ ফর ফ্যাসিবাদী আইকন ও সদর উপজেলা প্রশাসনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ডাকা হয়। এ কর্মসূচি থেকে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙার সিদ্ধান্ত দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাঙতে শুরু করেন ফ্যাসিবাদবিরোধী বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রথমে কয়েকটি বড় বড় হাতুড়ি দিয়ে ভাস্কর্যটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়। তাতে ব্যর্থ হওয়ায় পরে ড্রিল মেশিন, বৈদ্যুতিক ড্রিল মেশিন ও রডকাটার মেশিন দিয়ে তা ভাঙা হয়।
এ সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার নেতা মো. সাউবান, মো. জালাল উদ্দিন, মো. ওয়াহিদুজ্জামান রোমান, মো. ইমাম হোছাইন ইমু, মো. শহীদুল ইসলাম সাফি, মো. ইমাম হোছাইন কুতুবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তবে এ সময় প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।
