Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিয়ের ৮ দিন পর স্ত্রীর হাতে প্রাণ গেল স্বামীর

Icon

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ০৮:২০ পিএম

বিয়ের ৮ দিন পর স্ত্রীর হাতে প্রাণ গেল স্বামীর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের আট দিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে হত্যার শিকার হলেন স্বামী মেহেদী হাসান (২৭)। এ ঘটনায় স্ত্রী জান্নাত আক্তারকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার মধ্যরাতে পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মেহেদী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জলফু মিয়ার ছেলে। তিনি পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। 

মেহেদীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে পারিবারিকভাবে মেহেদীর সঙ্গে মসজিদ পাড়ার আল আমিনের মেয়ে জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মেহেদী রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর রাতে জান্নাত বাড়ির মালিককে ডেকে বলেন, তার স্বামী অসুস্থ। বাড়ির মালিক ও আশপাশের লোকজন গিয়ে দেখেন মেহেদী ঘরের মেঝেতে অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মেহেদীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের আগ থেকে অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো জান্নাতের। বিয়ের পরও সেই সম্পর্ক অব্যাহত ছিল। প্রেমের সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে হত্যা করেছে জান্নাত। 

মেহেদীর মা বকুল বেগম বলেন, ৮ দিন হয়েছে আমার ছেলেকে বিয়ে করাইছি। অন্য ছেলের সঙ্গে বউয়ের প্রেম ছিল। এজন্য আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। 

মেহেদীর বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, আমার ছোট ভাই একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করতেন। তার স্ত্রী ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। 

আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাত তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বিয়ের আগে এক ছেলের সঙ্গে জান্নাতের প্রেম ছিল। বিয়ের পর থেকে তিনি স্বামীকে মেনে নিতে পারছিলেন না। শুক্রবার রাতে ঘুম আসছে না বলে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ আনতে বলে। পরে কোকের সঙ্গে ৬টি ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে খাওয়ায় জান্নাত। কোক খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়ে মেহেদী। এরপর তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্ত্রী। 

ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্ত্রী স্বামী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম