শেরপুর সীমান্তে দ্বিতীয় দফায় সেই বন্যহাতির চিকিৎসা
শেরপুর ও নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রায় এক মাস ধরে পায়ে ক্ষত নিয়ে অসুস্থ থাকার পর ১৭ দিন আগে প্রথম দফা অস্ত্রোপচার করে কিছুটা সুস্থ হয়েছে বন্যহাতি। এবার দ্বিতীয় দফায় সেই বন্যহাতির চিকিৎসা করেছে বন বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
রোববার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তবর্তী উপজেলার বুরুঙ্গা কালাপানি পাহাড়ের বড়খোল এলাকার গহীন জঙ্গলে হাতিটির চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১ মে বন্যহাতিটির পায়ের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই অস্ত্রোপচারের পর ১৭ দিনের ব্যবধানে বন্যহাতিটির ডান পায়ের ক্ষত প্রায় ৮০ শতাংশ সেরে উঠেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী জানান, একটি বন্যহাতি ডান পায়ে গভীর ক্ষত নিয়ে তিন পায়ে কাটাবাড়ি পাহাড়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে বন বিভাগকে খবর দেন। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শেরপুরের তত্ত্বাবধানে গত ১ মে প্রথম অসুস্থ বন্যহাতির সুস্থতায় উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি দল ও নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকরা যৌথ প্রচেষ্টায় হাতিটিকে অজ্ঞান করে চিকিৎসা শেষে পুনরায় জ্ঞান ফেরানো হয়। পরে বন্যহাতিটি পাহাড়ের গহীনে ফিরে যায়। রোববার দ্বিতীয় দফায় খোঁজ নিয়ে ওই বন্যহাতির অবস্থান নির্ণয় করে পুনরায় অচেতন করে চিকিৎসা করা হয়। পরে আবারও চেতনা ফিরিয়ে বনে পাঠানো হয়।
এ সময় গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, নালিতাবাড়ী প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাকিব হোসেন সাগর, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহীন কবির, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলীসহ অন্যরা অংশ নেন।
