দুর্নীতি দেশটার কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে সেটি ২০২৪-এ বোঝা গেছে
দুদক কমিশনার
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ বলেছেন, দুর্নীতি শোষণের হাতিয়ার, এর শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দুর্নীতি এখন আর শুধু জনপ্রতিনিধি, নেতা, সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে নেই, এটা সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্নীতি দেশটার কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে সেটি ২০২৪ সালে বোঝা গেছে। সব শেষ করে দিয়েছে। সব শোষণ করে নিয়ে গেছে।
তিনি কাউকে ঘুস না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যারা ঘুস খায় তারা অমানুষ। সে তার নিজের পরিবার, আত্মীয়স্বজনকে অসম্মান করছে।
সুনামগঞ্জে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবাগ্রহীতাদের নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উদ্যোগে গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে সোমবার এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ শুনানি চলে বেলা ২টা পর্যন্ত।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ, দুদকের সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রাফি নাজমুস সাদাত, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক) সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মহিবুল ইসলাম।
হাফিজ আহসান ফরিদ বলেন, বাংলাদেশর মানুষ প্রতিবাদ করতে ভুলে গিয়েছিল। ৭১ সালের পর যে প্রতিবাদ হয়েছে তা হলো ৯০ ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান। মানুষ এখন প্রতিবাদ করতে শিখেছে। তা যেন বন্ধ না হয়। আপনারা প্রতিবাদ করুণ আমাদের ১০৬-এ কল দিন অথবা লিখিত অভিযোগ দিন। সবাই কথা বললে এ অবস্থার পরিবর্তন আসবে। এক সময় দুদকের আর দরকার হবে না। এইটুকু আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আশা করি সবে মিলে একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করতে পারব। তারই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ হবে ঘোষণা দুর্নীতিমুক্ত একটি জেলা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সঞ্চালনায় গণশুনানিতে সেবাপ্রার্থীরা জেলা সদর হাসপাতাল, পৌরসভা, বিদ্যুৎ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, পুলিশ বিভাগ, নির্বাচন কার্যালয়, বিআরটিএ, সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পাসপোর্ট, জেলা কারাগার, এলজিইডি, ভূমি, প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, বিটিসিএল, সেটেলমেন্ট কার্যালয়সহ বিভিন্ন বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং সেবা নিতে গিয়ে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার লোকজন অভিযোগ তুলে ধরেন এবং বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জবাব ও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য দেন। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পড়ে ভূমি বিষয়ে।
