রংপুরে মিঠাপুকুরের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা আবুল হাসনাত রতন (৪৮) তার পরিষদের একজন সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান।

গ্রেফতার চেয়ারম্যান মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা।

রোববার সকালে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঢাকার শাজাহানপুর থেকে র‌্যাবের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কাজে ইউনিয়নের বাইরে গেলে ওই নারী সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিতেন। এভাবে ওই নারী সদস্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এ সুবাদে গত ২৮ মার্চ সরকারি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনার কথা বলে রংপুর নগরীর আদর্শপাড়ার ভাড়া বাসায় ওই মহিলা সদস্যকে ডেকে নেন তিনি। সেই বাড়িতে আলোচনার একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে শারীরিক মেলামেশার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে ওই ইউপি সদস্য রাজি না হলে তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান।

ওই নারী সদস্য অভিযোগ করে বলেন, রমজান মাস এবং ঈদের কয়েক দিন আগে চেয়ারম্যান আমাকে রংপুর শহরে আদর্শপাড়ার বাসায় সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মডার্ন মোড় থেকে চেয়ারম্যানের পিএস আল আমিন আমাকে ওই বাসায় নিয়ে যান। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনার একপর্যায়ে আল আমিন চলে যাওয়ায়, চেয়ারম্যান রতন একা পেয়ে আমাকে ধর্ষণ করেন। এরপর চেয়ারম্যান বাথরুমে গেলে আমি তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন ইউপি সদস্যকে ঘটনাটা জানাই। পরে চেয়ারম্যান আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দিয়ে আমাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর দীর্ঘদিনেও আমি বিচার না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।

এদিকে ঘটনার পরপরই গা-ঢাকা দেন চেয়ারম্যান। যার কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন সেবাপ্রার্থীরা। চেয়ারম্যান না থাকায় কোনো সেবাই পাচ্ছেন না তারা।

রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদ্য বহিষ্কৃত বালারহাট ইউনিয়নের জামায়াতের আমির। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারই পরিষদের নারী সদস্য। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সকালে ঢাকার শাজাহানপুর থেকে র‌্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার সকালে রংপুরে কোতোয়ালি মেট্রোপলিটন থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যান্য আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।