Logo
Logo
×

সারাদেশ

ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা, ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড

Icon

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম

ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা, ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জে নাজমুল ইসলাম নামে এক সবজি বিক্রেতাকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দার (রফিক সরকার) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পারধুন্দিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাজা মিয়া, একই উপজেলার হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে এনামুল, দরগাপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে মোজাহিদ, পারধুন্দিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে বসু, মাদারদহ পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান প্রধানের ছেলে সাইদুল ইসলাম ও একই জেলার সাঘাটা উপজেলার রামনগর (হাটবাড়ি) গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মিলন সরকার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ আগস্ট দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল গোলচত্বরের উত্তরে রূপসী বাংলা হোটেলের দক্ষিণে বটগাছের নিচ থেকে সবজি ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সবজি ব্যবসায়ী নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। তিনি নওগাঁর চকগৌরী বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনে ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল এলাকার একটি আড়তে বিক্রি করতেন।

এ ঘটনায় নাজমুলের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বাদীর বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে চকগৌরী হাট থেকে সবজি কিনে ট্রাকে উঠিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন নাজমুল। পরদিন ১১ আগস্ট সবজি বিক্রি শেষে ফেরার পথে গাজীপুর উপজেলার চন্দ্রা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। ১১ আগস্ট রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নাজমুলের ফোন থেকে তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে অপহরণের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। ১২ আগস্ট সকাল ৭টায় টাকা পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বরও দেন। ওই দিন সকালেই মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস নামে একটি বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজারের মাধ্যমে জানা যায় নাজমুলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা পুলিশ।

এ হত্যা মামলার তদন্ত শেষে সলঙ্গা থানা পুলিশ সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে।

মামলার অপর আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে হাজী ছয়ফুল মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সিরাজগঞ্জ মৃত্যুদণ্ড

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম