চট্টগ্রামে ইসলামী ফ্রন্টের সমাবেশে বক্তারা
রাখাইনে করিডোর দিলে দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিদেশি বিনিয়োগের নামে চট্টগ্রাম বন্দরে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো কোনো আগ্রাসী শক্তির অনুপ্রবেশ চট্টগ্রামবাসী মেনে নেবে না। মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব উপেক্ষা করে আরাকান আর্মিকে সহযোগিতা প্রদান বা রখাইনে করিডোর দেওয়া হলে বাংলাদেশ এক বিপজ্জনক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া রাখাইন অঞ্চল নিয়ে চীন, ভারত ও রাশিয়ার কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব আবদুস সামাদ এসব কথা বলেন।
রাখাইনে করিডোর প্রদান বিষয়ে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কুরআন- সুন্নাহবিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিল এবং চট্টগ্রাম বন্দরে সন্দেহজনক হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইউনুস যুক্তিবাদীর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সহ-প্রকাশনা সচিব মাওলানা মুহাম্মদ মুহাম্মদ নুরুল্লাহ রায়হান খানের পরিচালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবুল মনছুর দৌলতি। প্রধান আলোচক ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সাংগঠনিক সচিব ড. ইসমাইল নোমানি।
বক্তারা আরও বলেন, করিডোরের সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র ওই এলাকায় প্রবেশ করলে তা আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াবে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে, যা গাজার মতো ভয়াবহ পরিণতির দিকে দেশকে ঠেলে দেবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটিসহ বিভিন্ন টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে দিলে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও ব্যবসার নেমে এসে দেশ দখল করেছিল। তাই বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবি জানান তারা।
সমাবেশ থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তন বুকিং দেওয়ার পর বাতিল করার প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, দেশের স্বার্থে আয়োজিত সমাবেশের বুকিং বাতিল করে প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ বৈষম্যের পরিচয় দিয়েছেন; যা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
