দুই মামলায় অব্যাহতি পেলেন চাঁদপুর বিএনপির সভাপতিসহ ৬৪ নেতাকর্মী

চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম

পতিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ ৬৪ নেতাকর্মী।
বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম সামছুন্নাহার দুটি মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বাবর বেপারী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর-হাইমচর আঞ্চলিক সড়কের দক্ষিণ বালিয়া কাজীবাড়ির সামনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক আহুত অনির্দিষ্টকালীন অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি চলমান ছিল। ওই স্থানে ট্রাকে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে ৩২ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এ মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন তৎকালীন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের বকুলতলা রোডের রেললাইন এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করেন। পুলিশ ওই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও উস্কানিমূলক স্লোগানের অভিযোগ এনে ১৫ জন নামীয় এবং ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়।
দীর্ঘ বছর এসব মামলা চলমান অবস্থায় আদালত সাক্ষ্য, প্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত করতে না পারায় বিচারক সব আসামিকে দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
অব্যাহতি পাওয়া আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিম, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর খান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন খান আকাশ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বাবর বেপারী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট শরীফ মাহমুদ ফেরদৌস শাহীন বলেন, পতিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পুলিশের দায়ের করা এসব মামলায় দীর্ঘ বছর বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা হয়রানি এবং জুলুমের শিকার হয়েছেন। আদালতের ন্যায়বিচারের কারণে এসব মামলা থেকে তারা অব্যাহতি পেলেন।