|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। চৌদ্দ বছর বয়সি ওই ছাত্রী উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবককে প্রধান আসামি ও সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
অভিযুক্ত যুবক জয় রহমান (২২) খালিয়াজুরী উপজেলার পাঁচহাট (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মৃত আশরাফুজ্জামানের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- একই গ্রামের মৃত আলী মোহাম্মদের ছেলে মো. আপনুজ্জামান ওরফে আপন (৩০), মৃত আশরাফুজ্জামানের দুই ছেলে বিজয় রহমান (১৯) ও মাসুম মিয়া (২৪), কামরু জামানের দুই ছেলে মো. সাব্বির (২৫) ও মানিক মিয়া (২০), কামাল মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (২০) এবং মৃত লুসা মিয়া ওরফে ইসমাইলের ছেলে ইদ্রিছ মিয়া (৫৫)। তারা সবাই খালিয়াজুরীর পাঁচহাট (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত যুবক জয় রহমান বেশ কিছুদিন যাবত স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে কিশোরীকে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। ভুক্তভোগী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত যুবক কিশোরীকে অপহরণের পাঁয়তারা শুরু করে। ভুক্তভোগী কিশোরী আসামিদের ভয়ে এ কথা কাউকে কিছু বলে নাই।
গত ১৫ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে ওই কিশোরী বসত ঘরের পাশে পেছনে প্রকৃতির ডাকে বের হয়। পরে সেখানে ওতপেতে থাকা প্রধান অভিযুক্তসহ অন্য আসামিরা পরস্পরের সহযোগিতায় জোরপূর্বক কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে বাদী নিজে ও তার আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গত ১৯ মে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচহাট ধনু নদীর নৌকা ঘাটে ওই কিশোরীকে দেখতে পান। বাদী ও তার লোকজনকে দেখে অভিযুক্ত যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি খুলে বলে। ঘটনা শুনে পরিবারের লোকজন মামলা করেন।
বুধবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে খালিয়াজুরী থানার ওসি মো. মকবুল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীকে উদ্ধার শেষে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। ভুক্তভোগী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
