ঢাকার ধামরাইয়ে অপহরণের পর স্কুলছাত্রীকে ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার অন্তর্গত ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া এলাকা থেকে পুলিশ অপহরণকারীদের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার ও মুমূর্ষু অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- অপহরণকারী দলের মূল হোতা আরিফুজ্জামান আরিফ, আয়নাল হোসেন ও রবিউল ইসলাম রবি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৫ মে সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথিমধ্যে অপহরণকারী দলের মূল হোতা আরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে আয়নাল হোসেন ও রবিউল ইসলাম রবিসহ বেশ কয়েকজনে মিলে অপহরণ করে। এরপর গাড়িযোগে সাভারের আশুলিয়া থানা এলাকায় একটি ভাড়া করা বাড়িতে নিয়ে যায়। তাকে ছয় দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। 

ধামরাই থানার এসআই মোহাম্মদ মাসুদ রানা উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে অভিযান চালায়। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ভিকটিমকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে অপহরণকারী দলের মূল হোতা আরিফুজ্জামানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা অধরা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে অপহৃত ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, অপহরণকারীরা আমার মেয়েকে অপহরণের পর সর্বনাশ করে ফেলেছে। আমি ওই অপহরণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই। এ ব্যাপারে প্রথমে আমি ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ও পরে অপহরণ, নারী ও শিশু দমন আইনে একটি মামলা করেছি।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, আমরা নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে অপহরণকারী দলের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।