Logo
Logo
×

সারাদেশ

বড় ভাই না ডাকায় ছুরিকাঘাতের ৬ দিন পর কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম

বড় ভাই না ডাকায় ছুরিকাঘাতের ৬ দিন পর কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতের ছয় দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কলেজশিক্ষার্থী মারা গেছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম ওয়াহিদুল আলম সাব্বির (১৮)। বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

বড় ভাই না ডাকার জেরে গত ১৬ মে নগরীর হালিশহর থানাধীন নতুনবাজার এলাকায় তাকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এ ঘটনায় সাব্বিরকে বাঁচাতে এসে মামুন নামে এক তরুণও আহত হয়েছিল। তবে ছুরিকাঘাতে অংশ নেওয়া চারজনই ধরাছোঁয়ার বাইরে। সাব্বির নগরীর হালিশহর থানার নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইছহাকের ছেলে।

ওয়াহিদুল আলম সাব্বির চট্টগ্রামের শ্যামলী আইডিয়াল টেকনিক্যাল কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

সাব্বিরের বাবা মো. ইছহাক বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে নতুনবাজার এলাকায় বাসার কাছের মসজিদ থেকে জুমার নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর আবিদ নামে এক ছেলে টিকটক করার কথা বলে আমার ছেলেকে নয়াবাজার বিশ্বরোডে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে পিসি পার্ক কমিউনিটি সেন্টার গলিতে ৪০ জন ছেলেকে এনেছিল সাব্বিরকে মারধর করার জন্য। সাব্বির সেখানে যাওয়ার পর পর তাকে মারধর শুরু করে। মৃত্যুর আগে সাব্বির বলেছিল- তাকে নিয়ে যাওয়ার পর চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দেয় বিজয় নামে এক ছেলে। এরপর আবিদ, আতাউর ও রাফসান তাকে ছুরিকাঘাত করে।

তিনি বলেন, ৬-৭ মাস আগে আবিদকে বড় ভাই ডাকতে বলেছিল। আমার ছেলে ডাকেনি। এজন্য তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল আবিদ। মারধরের সময় সাব্বির বাঁচার জন্য আবিদের পায়েও ধরেছিল; কিন্তু সে ছাড় দেয়নি। সাব্বিরকে বাঁচাতে এসে মামুন নামে এক ছেলেও ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত আমার ছেলের ঘাতকরা গ্রেফতার হয়নি।

হালিশহর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সাব্বিরের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছিল। আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। সে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

চট্টগ্রাম

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম