Logo
Logo
×

সারাদেশ

আ.লীগ নেতার ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ

Icon

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১১:১৩ পিএম

আ.লীগ নেতার ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ

জব্দ চালের ট্রাক, ছবি: যুগান্তর

নাটোরের সিংড়ায় খাদ্য অধিদপ্তর লেখা (স্টিকার যুক্ত) দুই গাড়ি চাল জব্দ করেছে সেনাবাহিনী। বুধবার রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া বাসস্ট্যন্ড এলাকা থেকে এ চাল জব্দ করে সেনা ক্যাম্পে নেওয়া হয়। চালগুলো আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন বলে জানানো হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জব্দ চাল সিংড়া থানায় হন্তান্তর করেনি সেনাবাহিনী। খুব শীঘ্রই হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। দুই গাড়িতে ১৬ টন ২১০ কেজি চাল রয়েছে বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, বুধবার রাতে দুটি গাড়িতে পলিথিন মোড়ানো খাদ্য অধিদপ্তর লেখা চাল সিংড়া বাজার থেকে নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। রাস্তায় টহলে থাকা সেনাবাহিনী গাড়ি দুটি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। গাড়ির চালকরা সঠিক তথ্য দিতে না পারায় দুই গাড়িভর্তি চাল জব্দ করে সেনা ক্যাম্পে নেওয়া হয়। চালগুলো অবৈধভাবে কিনে সিংড়া থেকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন সিংড়া বাজারের মেসার্স রাজু এন্টারপ্রাইজের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম রাজু।

আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম রাজু জানান, সরকারি বিভিন্ন খাতে বরাদ্দকৃত কাবিখাসহ মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে তিনি চাল কিনে নাটোরে বিক্রি করেন। জব্দকৃত চাল তার বৈধ।

এ বিষয়ে সিংড়া খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা গোলাম রসুল বলেন, জব্দ চালের সঙ্গে খাদ্যগুদামের কোনো সম্পর্ক নেই। ডেলিভারি দেওয়া চাল বাহিরে নিয়ে যাওয়ার পর জব্দ করা হয়েছে। 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিয়ামুল হক বলেন, সরকারি বিভিন্ন কাজের চালের ডিও যারা কিনে বাইরে ব্যবসা করেন তাদের চাল জব্দ করেছে সেনাবাহিনী। এ চালের সঙ্গে খাদ্য অফিসের কোনো সম্পর্ক নেই।

সিংড়া সেনা ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাদান বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি সিল যুক্ত ৩০ কেজি ওজনের বস্তার ১৬ টন ২১০ কেজি চালসহ দুইটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি কাজের শ্রমিকদের মজুরির জন্য বরাদ্দকৃত চাল; যা বাহিরে বিক্রয়যোগ্য নহে। গাড়িসহ জব্দ চাল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে থানা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, চাল জব্দের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত থানায় হস্তান্তর হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, এটা কাবিখা কর্মসূচির কর্মীদের চাল। কর্মীরা কাজ করে চাল না নিয়ে নগদ টাকা নেন। সেক্ষেত্রে প্রকল্পের সভাপতি ওই চাল বাজারে বিক্রি করে দেন। এটা দেশের সব উপজেলাতেই হচ্ছে। অবৈধ কোনো কিছু মনে হচ্ছে না।

সিংড়া আ.লীগ চাল

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম