Logo
Logo
×

সারাদেশ

‘চোর’ আখ্যা দিয়ে দুই যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন

Icon

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

‘চোর’ আখ্যা দিয়ে দুই যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন

নেত্রকোনার মদনে গরু ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে দিলুয়ার হোসেন (৩৫) ও মোজাহিদ মিয়া (২৪) নামে দুই যুবককে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। তার দাবি, চোর অপবাদ দিয়ে তাদের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।

গত ১৭ মে রাতে উপজেলার বরাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার দিলুয়ার ডেকোরেশন শ্রমিক ও মোজাহিদ অটোরিকশা চালক। তারা দুজনেই ওই উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের মোয়াটি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিলুয়ার মদন থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে দিলয়ার জানান, গত ১৭ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে কাজের কথা বলে তাদের বাড়ি থেকে ডেকে নেয় বরাটি গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে শরীফ। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বরাটি গ্রামের দানা মিয়ার বাড়ির সামনে নিয়ে তাদের গরু চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। ওই সময় কয়েকজন তাদের চোখ কালো কাপড় দিয়ে বেধে ফেলে। পরে দানা মিয়ার বসত ঘরের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাতভর নির্যাতন করে।

পরে রোববার সকালে ভুক্তভোগীর স্বজনরা তাদের ছাড়িয়ে চিকিৎসার জন্য মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে দিলুয়ারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

দিলুয়ার বলেন, ‘কাজের কথা বলে সবুজ মেম্বারের ছেলে আমাকে ও মোজাহিদকে তাদের গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পরেই লোকজন এসে আমাদের ধরে চোখ বেধে ফেলে। পরে রশি দিয়ে হাত-পা বেধে চুরি করতে এসেছি বলানোর জন্য সারারাত মারধর করে। পরদিন সকাল ১০টার দিকে সালিশি বৈঠক করে আমাকে ছাড়া হয়। এ ঘটনা থানায় জানালে জরিমানা দিতে হবে বলে ভয় দেখিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে দানা মিয়াকে ফোন করা হলে তার স্ত্রী তা ধরেন। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের ঘরের গরু চুরি করতে এসেছিল। পরে বাড়ির সামনে পুকুড় পাড় থেকে তাদের ধরা হয়। লোকজন আমার ঘরের সামনেই বেধে রাখে। দুই মাস আগে আমাদের একটা মোটর চুরি হয়েছিল। সেটা তারা নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।’

মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় গতকাল একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মদন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম