আ.লীগের অফিস দখল করে বিএনপি কার্যালয়
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
আ. লীগ অফিসে বিএনপি সাইনবোর্ড, ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিস দখল করে ইউনিয়ন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় করা হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪নং নগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়’ লেখা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট উপজেলার নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ বাজারের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ আব্দুল কুদ্দুসের ছেলের শহিদ কল্লোল স্মৃতি সংঘের এ কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। ওই কার্যালয় শহিদ কল্লোল স্মৃতি সংঘ নামে হলেও নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নীলুফার ইয়াসমিন ডালু ব্যবহার করতেন। যেখানে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়মিত ওঠা-বসা ছিল। পুড়ে যাওয়া আধা পাকা কার্যালয়টির টিনের চাল নষ্ট হলেও দেয়াল ঠিক ছিল। সেখানেই ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪নং নগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাজদার রহমান, ৮ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাব সরকার, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তৌরাদ মন্ডল কার্যালয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। এই কার্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির বেশিরভাগ সদস্য ওঠাবসা করেন।
আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাইনবোর্ড টাঙানোর বিষয়ে নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাজদার রহমান বলেন, ওই অফিসের জায়গার মালিক ৮ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাব সরকার। নীলুফার ইয়াসমিন ডালু দখল করে অফিস বানিয়েছিলেন। ৫ আগস্ট বিএনপি ও আসাব সরকারের ছেলে তা পুড়িয়ে দেয়। পরে আবার মেরামত করে দলীয় কার্যালয় করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, এভাবে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় দখল করা নিন্দনীয়। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের কিছু করার নেই। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছি না।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও জোয়াড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, আওয়ামী লীগের অফিস দখলে নেওয়া ও সাইনবোর্ড টাঙানোর বিষয় আমরা জানি না। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতেও চাই না।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করে নাই। বিষয়টি আমার জানা নাই।
