ঈদে দৌলতদিয়া-পাঁটুরিয়া নৌরুটে চলবে ১৭ ফেরি ও ২০ লঞ্চ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাঁটুরিয়া রুটে ফেরি সার্ভিস, নৌপথে লঞ্চসহ জলযান সমূহের সুষ্ঠুভাবে চলাচল নিশ্চিতকল্পে বক্তব্য রাখছেন- রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পবিত্র ঈদুল আযহায় দৌলতদিয়া-পাঁটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার এবং কুরবানির পশুবাহী ট্রাক পারাপার নির্বিঘ্ন করতে এবার ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে।
শনিবার (২৪ মে) রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাঁটুরিয়া রুটে ফেরি সার্ভিস, নৌপথে লঞ্চসহ জলযান সমূহের সুষ্ঠুভাবে চলাচল নিশ্চিতকল্পে ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আয়োজিত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) শ্রীনাথ সাহা, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) আতাউর রহমান খান, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ টিআই সাগর মল্লিক, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি জুয়েল, জেলা বাস মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রমজান আলী, লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ মল্লিকসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহায় দৌলতদিয়া-পাঁটুরিয়া নৌরুটে রো-রো ফেরি নয়টি, মিডিয়াম টাইপ ফেরি তিনটি ও ছোট ফেরি পাঁচটিসহ মোট ১৭টি ফেরি চলাচল করবে। দৌলতদিয়া প্রান্তের (৩, ৪ ও ৭) এই তিনটি ফেরিঘাট সচল থাকবে। যার প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও পানি বৃদ্ধি পেলে ৬নং ফেরি ঘাটটি ব্যবহার করা হবে। তিনি আরও বলেন,পশুবাহী ট্রাকগুলোকে বিশেষভাবে পার করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর দৌলতদিয়া-পাঁটুরিয়া নৌরুটের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) সাগর মল্লিক বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া-পাঁটুরিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। আরিচা-কাজিরহাট রুটে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। পাঁটুরিয়া প্রান্তে তিনটি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে তিনটি ঘাট সচল রয়েছে। প্রয়োজন হলে দৌলতদিয়াতে একটি ও পাঁটুরিয়াতে আরও একটি ঘাট সচল করা হবে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। থানা পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ একাধিক টিম থাকবে। এছাড়াও নৌপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ আমাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা পুলিশ সর্বদা মাঠে থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা যেন ঈদে বাড়িতে ও ঈদের পরে কর্মস্থলে নির্বিঘ্নে ফিরতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করবে। ঈদের দিনসহ ঈদের আগের তিন দিন ও ঈদের পর আরও সাত দিন নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যায় নদী পথে পশুবাহী ট্রলার থাকবে না। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। এছাড়াও পশুবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে। দৌলতদিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়া টার্মিনালে যানবাহনের ভাড়ার চার্ট দৃশ্যমান থাকবে, সচেতনতামূলক বিভিন্ন ব্যানার ঘাট এলাকায় থাকবে। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঈদের আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট থাকবে মোবাইল কোর্ট করার জন্য। যাত্রীদের থেকে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা যেনো অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে সেজন্য আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট থাকবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
