ভোলায় আবাসিক গ্যাসসহ ৬ দাবিতে ইন্ট্রাকোতে তালা-ঘেরাও
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
ভোলায় আবাসিক গ্যাস সংযোগসহ ৬ দফা দাবিতে ফিলিং স্টেশন ইন্ট্রাকোতে তালা
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোলায় আবাসিক গ্যাস সংযোগসহ ৬ দফা দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে বিভিন্ন পেশার শত শত মানুষ। ইন্ট্রাকো গ্যাস ফিলিং স্টেশনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে দিনভর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এদিন দুপুরে ইন্ট্রাকো দপ্তরের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভকালে স্লোগানে মুখর ছিল ওই এলাকা। মজুদ গ্যাস থেকে আবাসিক সংযোগ, সরকারি মেডিকেল কলেজ, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পনগরীসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ভোলার গ্যাস জেলার বাইরে নিতে দেওয়া হবে না। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিন ইন্ট্রাকো কোম্পানির ফিলিংস্টেশন থেকে প্রতিদিন দেড় মিলিয়ন গ্যাস বোতলজাত করে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। ‘আমরা ভোলাবাসী’ ব্যানারে আন্দোলনের মুখে ওই গ্যাস নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে ইন্ট্রাকো ঘেরাওকালে পুলিশ র্যাব সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যায়। প্রশাসনের তরফ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামানকে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হুমায়ুন কবির সোপান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক, ইসলামী আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছীন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোবাশ্বেরুল হক নাঈম, গ্যাস আন্দোলন কমিটির সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
অপরদিকে সকালে জেলা শহরের টাউন কমিটির মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরের ভাসানী মঞ্চে ৬ দফার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমরা ভোলাবাসী আন্দোলন কমিটির সভাপতি জেলা বিএনপি আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ভোলা জেলা শাখার সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম, দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্যাস আন্দোলন নাগরিক কমিটির সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ জাকির হোসেন।
মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরী বলেন, জেলায় ৩টি পৃথক গ্যাস ক্ষেত্রে ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ পাওয়া যায়। আরও ১৯টি কূপ খনন করা হবে। যেখানে ৫ ট্রিলিয়নের বেশি গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। অথচ ভোলাবাসীকে আবাসিক গ্যাস সংযোগ না দিয়ে ওই গ্যাস অন্যত্র নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এটা ভোলাবাসী মেনে নিতে পারছেন না।
তিনি জানান, একই সঙ্গে ভোলায় ৫ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকে। ১০ হাজার কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। দেশের দুই তৃতীয়াংশ ইলিশ মাছ উৎপাদন হয় এ জেলায়। এখানে দেশের সর্ববৃহৎ গ্যাসের মজুদ রয়েছে। সেই দ্বীপ জেলা ভোলাবাসী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। ২০১৮ সালে ঘোষিত ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ হবে না। ১২ বছর আগে ঘোষিত মেডিকেল কলেজ হবে না। এটা মানা যায় না।
ভোলায় আবাসিক গ্যাস সংযোগসহ ৬ দফার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন ‘আমরা ভোলাবাসী’ কমিটির সভাপতি গোলাম নবী।
