৩৮ মণ ‘সাদা পাহাড়ের’ দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ষাঁড় গরুটির পুরো শরীরই সাদা। এর জন্য মালিক এর নাম রেখেছেন ‘সাদা পাহাড়’। নামের সঙ্গে মিল রয়েছে গরুটির। হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ৩৮ মণ ওজনের ষাঁড়টি দেখতে পাহাড়ের মতোই। আসন্ন কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা সুঠামদেহী এ গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের রামকোল গ্রামের বাসিন্দা
প্রশান্ত কুমার দাসের খামারে লালন-পালন করা হয় সাদা পাহাড়কে। বিশাল গরুটি দেখতে প্রতিদিন
খামারে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।
প্রশান্ত কুমার দাসের খামারের কাজ করা রাখাল কালাম প্রামানিক বলেন,
‘অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সাদা পাহাড়কে নিজেদের
জমিতে লাগানো নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানো হয়। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসে
গরুর সঙ্গে সেলফি তোলেন। গরুটি দেখার জন্য ভিড় জমে যায়। এ রকম বড় গরু জেলার আর একটিও
নেই।’
প্রশান্ত কুমার দাস জানান, প্রায় চার বছর ধরে লালন-পালন করা হচ্ছে
সাদা পাহাড়কে। সুঠাম দেহের ষাঁড়টিকে শুকনো খড়, ভুট্টা, খেসারি ও জবের সংমিশ্রণে তৈরি
করা ভুসি খাওয়ানো হয়। এছাড়াও খাওয়ানো হয় কাঁচা ঘাসও। প্রতিদিন তিনবার গরুটিকে গোসল
করানো হয়। সাদা পাহাড়ের জন্য ২৪ ঘণ্টায় ফ্যান ও লাইট চালানো থাকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রামাঞ্চলের মানুষ। শহরের হাট-বাজার খুব বেশি একটা চিনি না। আর চিনলেও আমার দ্বারা এত বড় গরু হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা সম্ভব না। ভালো দাম পেলে বাড়ি থেকেই গরুটি বিক্রি করে দেব।’
প্রশান্ত কুমার দাসের স্ত্রী ভারতী দাস বলেন, ‘আমার সাদাপাহাড় গরুটি
অনেক শান্তশিষ্ট। চার বছর আগে দেড় লাখ টাকা দিয়ে সাদা পাহাড়কে কিনে আনা হয়েছিল লালন-পালনের
জন্য। এখন সেটাকে লালনপালন করে বড় করেছি। আমার খামারে সাদা পাহাড় ছাড়াও ৩০টি গরু রয়েছে।’
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘৩৮ মণ
ওজনের সাদা পাহাড় গরুটি লালন-পালন করে বড় করাটা দারুণ কষ্টের কাজ। এসব বড় গরুর নিয়মিত
যত্ন নিতে হয়। আসন্ন কুরবানি উপলক্ষে জেলায় এ বছর মোট ৮৯ হাজার পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
