বারহাট্টা বিএনপির সভাপতি মোস্তাক সম্পাদক কমল
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দীর্ঘ ১১ বছর পর নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে মো. মোস্তাক আহমদকে সভাপতি ও আশিক আহমদ কমলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
মোস্তাক আহমদ আগের কমিটির আহ্বায়ক ও আশিক আহমদ সদস্য সচিব ছিলেন।
বারহাট্টা উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৪৯৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সভাপতি পদে ৪ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বেলা ১১টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অর্থোপেডিকস চিকিৎসক মো. আনোয়ারুল হক। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। প্রধান বক্তা ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলার সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন ও আবু ওয়াহাব আকন্দ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারী ড্যানী প্রমুখ।
প্রথম অধিবেশনে উপজেলা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক মো. মোস্তাক আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধক, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি ছাড়াও জেলা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নেতারা বক্তব্য দেন।
বিকালে দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাক আহমেদ পান ১৬০ ভোট।
এ পদের জন্য অন্যরা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মানিক আজাদ পান ১১৪ ভোট, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী তালুকদার পান ১৪২ ভোট, বাউসি ইউনিয়নের তিনবারের সফল সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রশীদ আলম তালুকদার পান ৬৯ ভোট।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিক আহম্মেদ কমল পান ১৯১ ভোট, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আক্কাস আলী পান ১৭৪ ভোট, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল্লাহ সোহেল পান ১২০ ভোট।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অর্থোপেডিকস চিকিৎসক ডা. মো. আনোয়ারুল হক বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও আমরা স্বাধীনভাবে দলের সম্মেলন করতে পেরেছি। বিগত সরকারের লোকজন বারহাট্টায় সম্মেলন দুই পণ্ড করে দিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর মামলা-হামলা করে নানা অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। তাদের অত্যাচারে অসংখ্য মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে আমাদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। আশা করি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এ সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দল আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে।
বিজয়ী সভাপতি মো. মোস্তাক আহমদ বলেন, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের শত বাধা-বিপত্তি, মামলা-হামলাতেও পিছিয়ে না পড়ে আমরা দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। তাই এসব নেতাকর্মী আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। সেজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
