ঘাড় ও মাথার কারসাজি দেখিয়ে ভাইরাল স্কুলছাত্র
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
ভাইরাল সাজিদ, ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাথা স্থির রেখে ঘাড় ঘোরানো কিংবা শরীর স্থির রেখে মাথা ঘোরাচ্ছে এক স্কুলছাত্র। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এআই প্রযুক্তির কারিশমা কিংবা কোনো জাদুমন্ত্র বল ও চোখ ফাঁকি দেওয়ার কৌশলের আশ্রয় নয়। শুধুমাত্র নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে গিম্বলের ন্যায় ইচ্ছামতো মাথা ঘোরাতে পারে বলে জানিয়েছেন স্কুলছাত্র সাজিদের শিক্ষক।
সাজিদ কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক আলাপ মিয়ার ছেলে এবং লক্ষ্মীপুর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
সরেজমিন দেখা যায়, সাজিদের এমন শারীরিক কসরত দেখতে প্রতিদিন আশপাশের, এমনকি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন বয়সের কৌতূহলী নারী-পুরুষ ভিড় করছেন।
জানা গেছে, অনেক দিন আগে একটি ভিডিও চিত্রে মাথা স্থির রেখে ঘাড় ঘোরানোর এমন ঘটনা দেখে সাজিদ। তারপর থেকে লেখাপড়া ও খেলাধুলার ফাঁকে এ ধরনের শারীরিক কসরত রপ্ত করার চেষ্টা চালাতে থাকে। ঘাড় মটকে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় মা-বাবা ও বন্ধু-বান্ধব তাকে সতর্ক করতেন। তবে চেষ্টা অব্যাহত রাখার কারণে বাবার হাতে অনেক দিন মারও খেয়েছে সাজিদ। এরপরও গোপনে এমন চর্চা চালিয়ে গত ছয়মাস আগে একদিন সাফল্যের মুখ দেখেন।
সাজিদের বাবা আলাপ মিয়ার জানালেন, আনুমানিক ছয় মাস আগে সাজিদ তার সামনে প্রকাশ্যে গিয়ে দাঁড়ায়। তাকে দেখায় এমন অবিশ্বাস্য মাথা স্থির রেখে ঘাড় ঘোরানোর কসরত। সাজিদ তখন গর্ব করে বলে, দেখো বাবা একদিন সারা দেশের মানুষ আমাকে চিনবে।
আলাপ মিয়া বলেন, ঠিক সারা দেশের মানুষ এখন সাজিদকে দেখছে। আমার ছেলের এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা শেখার চেষ্টার কারণে ঘাড় মটকে যেতে পারে; এমন দুশ্চিন্তায় কতোরাত আমি ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি।
এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে এগিয়ে এসে সাজিদ বলে- এছাড়াও আমি আরও অনেক কিছু পারি বলে টিশার্ট খুলে সাগরের অশান্ত ঢেউয়ের কসরত দেখায়। বলে- আমি সুযোগ পেলে আরও অসম্ভব অনেক কিছু সম্ভব করতে পারতাম; কিন্তু ওই সব রপ্ত করার মতো সুযোগ-সুবিধা ও সামর্থ্য আমাদের নেই।
লক্ষ্মীপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন ও গর্ব ভরে জানালেন, সাজিদ আমাদের স্কুলের অহঙ্কার। সরকার কিংবা কোনো সহৃদয় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান শিশু সাজিদের এমন সব আশ্চর্য বিষয় রপ্তের ইচ্ছা পূরণে এগিয়ে এলে সে একদিন দেশের গর্ব হবে।
