ফরিদপুরের হাটে ২০ হাজার গরু, ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি
জাহিদ রিপন, ফরিদপুর
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১০:১০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফরিদপুর জেলার সবচেয়ে বড় টেপাখোলা পশুর হাটে তিলধারণের জায়গা নেই। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন রং এবং আকারের গরু এ হাটে উঠেছে। তবে ঈদের প্রায় দুই সপ্তাহ আগে হাটটিতে ব্যাপক হারে গরু উঠলেও ক্রেতা ও দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা।
তবে অনেকের প্রত্যাশা, দিন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়বে বিক্রি। এছাড়া কম দাম হওয়ায় খুশি ক্রেতারা।
এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মঙ্গলবার টেপাখোলা পশুর হাটে ২০ হাজারের বেশি গরু এসেছে বলে ইজারাদার সূত্রে জানা যায়।
বিকালে হাট ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন রংয়ের ছোট বড় মাঝারি গরু এসেছে হাটে; যা আকারভেদে ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে।
হাটের নিরাপত্তা রক্ষায় সিসি ক্যামেরাসহ সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন তৎপর। এ ছাড়া ইজারাদার কর্তৃক স্বেচ্ছাসেবী, জেলা প্রাণী অফিসের ভেটেরিনারি চিকিৎসক রয়েছেন। তবে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম বলে বিক্রেতারা জানান। আশানুরূপ দাম না পেয়েও হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
হাটে ৫টি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী সামাদ সেক। তিনি বলেন, হাটে অনেক গরু আসছে। তবে কেনার মানুষ কম। সবাই শুধু দেখেই চলে যায়। আমার ৫টি গরুর মধ্যে দুটি বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র ৩ লাখ ২০ হাজার টাকায়। এতে সীমিত লাভ হয়েছে।
বজলু শেখ নামের এক ক্রেতা বলেন, এ হাটে গরুর দাম তুলনামূলক কম। আমি ২টি গরু কিনেছি। কিনে মনে হচ্ছে জিতেছি।
হাটের ইজারাদার এম এ সালাম লাল মিয়া বলেন, দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বড় টেপাখোলা গরুর হাট জমে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আজ ২০ হাজারের বেশি গরু এসেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা হাসিল লাখে ৩ হাজার টাকা নিয়ে থাকি।
ফরিদপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, টেপাখোলা হাটে আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। পুরো জেলায় ৪০টি হাটে ১৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
