হাতিয়ায় ঘরে ঢুকে নারীকে গলা কেটে হত্যা
লাশ ফেলল পুকুরে
নোয়াখালী ও হাতিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে ঘরে ঢুকে আমেনা বেগম নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে লাশ পুকুরে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা তাৎক্ষণিক হত্যকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামের সাইক্লোন শেল্টারসংলগ্ন মো. এমরান উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত সোয়া ২টায় নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে। নিহত আমেনা এমরান উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি চার মেয়ে ও দুই ছেলের জননী ছিলেন।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল মোমিন বাবলু বলেন, আমেনার স্বামী নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তার চার মেয়েরই বিয়ে হয়ে গেছে। দুই ছেলে জেলা শহর মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করছে। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজন বসবাস করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যায় এমরান বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রী নামাজ পড়ছে। এরপর তিনি বাজারে চলে যান। রাত পৌনে ১০টায় এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা খোলা, ঘরে স্ত্রী নেই। ঘরে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি আমিরসহ স্থানীয় কয়েকজনকে মোবইল ফোনে জানান। এরপর খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আমেনার রক্তাক্ত লাশ পুকুরে ভাসতে দেখা যায়। কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বসতঘরের পাশে পুকুরে ফেলে দেয়।
নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বলেন, গলা কেটে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই নারীর লাশ পুকুরে ফেলা হয়। পরে পুকুর থেকে রাত সোয়া ২টায় ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
