Logo
Logo
×

সারাদেশ

টানা বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার শঙ্কা

Icon

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম

টানা বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার শঙ্কা

রাস্তায় পানি বৃদ্ধি। ছবি: যুগান্তর

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের ফলে ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার নদ-নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে।  

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৩০০ মিলিমিটার। 

শুক্রবার উপজেলার সারী-গোয়াইন-পিয়াইন নদীর তিন পয়েন্টের পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে জাফলং ডাউকি নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি ছিল। ডাউকির পানি বৃদ্ধির কারণে জাফলং পর্যটন কেন্দ্র ভেসে গেছে। 

টানা বৃষ্টিপাতের ফলে গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়কের কয়েকটি অংশে পানি উঠে গেছে। এতে যানবাহন ও মানুষ চলাচল অব্যাহত থাকলেও চলাচলের জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। 

ডাউকি, সারী ও পিয়াইন নদীর পানি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও এখনো নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সারী-গোয়াইনঘাট ও রাধানগর-গোয়াইনঘাট সড়কে পানি উঠে গিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যানবাহন চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।

এদিকে, পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে মানুষের জানমাল যাতে রক্ষা পায় সেই লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৮টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখনও মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠার খবর পাওয়া যায়নি।

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার প্রধান সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে পানি উঠেছে। এতে সারী-গোয়াইনঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের অধিকাংশ স্থানে পানি উঠায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। দিনভর বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত পানি ক্রমশ বেড়েছে।

এতে বৃষ্টির পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাটে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা জলে পরিনত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টিপাত হলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি জানান, যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে এবং পানি বাড়ছে সবজি এবং আউশ ধানের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান, উপজেলার নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। নিম্মাঞ্চলের মানুষদের আগে থেকেই সতর্ক করা হচ্ছে। মানুষের জানমাল রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৮টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম