নাতনিকে গলাটিপে হত্যা, নানি গ্রেফতার
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে লাবনী নামে ৮ বছরের নাতনিকে গলাটিপে হত্যা করেছেন নানি লালবানু (৬০)। এ ঘটনায় ঘাতক নানি লালবানুকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে এনায়েতপুর থানা পুলিশ।
শিশু লাবনী নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসর গ্রামের চাকরিজীবী নাহিদ আলমের মেয়ে।
শনিবার (৩১ মে) সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম এনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পরে দুপুরে বাবা নাহিদ আলম এ হত্যার ঘটনায় স্ত্রী নার্গিস খাতুন ও শাশুড়ি লালবানুসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে এনায়েতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামে নাতনি নাজিয়া আক্তার লাবনীকে হত্যা করে। ঘাতক লালবানু ব্রাহ্মণগ্রামের মৃত শুকুর আলী সরকারের স্ত্রী।
নিহত শিশুর দাদা আব্দুস ছালাম প্রামাণিক বলেন, চাকরির সুবাদে আমার ছেলে নাহিদ আলম ঢাকায় থাকেন। গত ৩ বছর ধরে শিশু লাবনী মানসিক ভারসাম্যহীন মা নার্গিস খাতুনের সঙ্গে নানির বাড়িতে থেকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নার্সারিতে পড়ালেখা করতো। নানি লালবানুই তাকে দেখাশোনা করতেন। শিশুটি কোনো কিছুর জন্য বায়না ধরলে বা জেদ করলে তার নানি লালবানু কারণে অকারণে তাকে বেধড়ক মারধর ও নির্মম নির্যাতন করতেন। ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে শিশুটি খাওয়া নিয়ে জেদ করলে তাকে মারধরের এক পর্যায়ে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
শিশু লাবনীর বাবা নাহিদ আলম বলেন, আমি আমার দুই মেয়ে ও স্ত্রীর জন্য প্রতি মাসে টাকা পাঠাই। মেয়ে যা চায় তা কিনে দিতে বলি। কিন্তু মেয়েটা কোনো কিছু চাইলে তার নানি তাকে দিতেন না। উল্টো তাকে মারধর ও নির্মমভাবে নির্যাতন করতেন। ঘটনার দিনও মেয়ে খাওয়া নিয়ে বায়না ধরলে তার নানি তা না দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে মারধর ও গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি চাই।
এনায়েতপুর থানার ওসি আনারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম এনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় ঘাতক নানি লালবানুকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মৃতের মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিশুটির বাবা নাহিদ আলম বাদী হয়ে স্ত্রী নার্গিস খাতুন ও শাশুড়ি লালবানুসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে এনায়েতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
