Logo
Logo
×

সারাদেশ

যশোর বোর্ডের পরীক্ষা শাখায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবাধ প্রবেশ বন্ধ

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম

যশোর বোর্ডের পরীক্ষা শাখায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবাধ প্রবেশ বন্ধ

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার কক্ষগুলোতে অবাধে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। অতি গোপনীয় এ শাখায় এখন থেকে অবাধে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।

বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই শাখায় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। সেখানে বাইরের লোকজন যখন-তখন প্রবেশ করায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতো।

অবাধে প্রবেশ বন্ধ করার পাশাপাশি কক্ষগুলো ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে ওইসব কক্ষে বোর্ড চেয়ারম্যান, সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও যারা সেখানে কাজ করেন, তারা ছাড়া অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।

এর আগে এসব কক্ষে অফিসের যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অবাধে আসা যাওয়া করতে পারতেন।

যশোর শিক্ষাবোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানিয়েছেন, অফিসের দোতলার উত্তর পাশের পাঁচটি কক্ষে পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ করা হয়। কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ওএমআর শিট (নম্বরপত্র) স্ক্যান ও প্রশ্নপত্র রাখা। সেখান থেকেs ওএমআর শিট স্ক্যান করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে প্রশ্নপত্র প্যাকেট কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কক্ষগুলোতে যদি চলাচলে বিধি নিষেধ না থাকে, তাহলে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে গোপনীয়তা বাইরে প্রকাশ পাবে। এতে বোর্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মধ্যে পড়বে।

এসব কারণে পরীক্ষা শাখার পাঁচটি কক্ষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। কক্ষগুলোর সামনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও লাগানো হয়েছে একসেপ্ট কন্ট্রোল দরজা। দরজার মেশিনে যাদের ফিঙ্গার প্রিন্টের ডাটাবেজ সেভ থাকবে, তারাই কক্ষগুলোয় প্রবেশ করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছেষ বোর্ড চেয়ারম্যান, সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সেখানে কাজে নিয়োজিত কর্মচারী।

এর বাইরে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, উপসচিব, সহকারী সচিবসহ অন্য কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রবেশ করতে পারবেন না। আর যারা পরীক্ষা শাখায় পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপনীয় কাজের সঙ্গে জড়িত আছে, তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে প্রশ্নপত্র বাইরে ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন বলেন, পরীক্ষা শাখার কক্ষগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা জরুরি। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় কাজ করা হয়। যে কাজ বাইরে প্রকাশ পেলে বড় সমস্যা হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারী অবাধে চলাচল করাও ঠিক নয়। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) পরীক্ষা শাখার পাঁচটি কক্ষ ডিজিটাল সিস্টেম কন্ট্রোলের আওতায় আনা হয়েছে। এরফলে কোনো কর্মচারী কখন কক্ষে প্রবেশ করছেন, আবার বাইরে যাচ্ছেন- সেটাও জানা যাবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম