একসঙ্গে ৩ পুত্রের জন্ম, খাদ্যের জোগান নিয়ে দিশেহারা বাবা-মা
মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
একসঙ্গে তিন পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তাদের খাদ্যের জোগান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বাবলু রহামান ও ডলি খাতুন নামে এক দম্পতি। সিজারিয়ানের মাধ্যমে অপুষ্টি ও স্বল্প ওজনে জন্ম নেওয়া তিন পুত্র সন্তানসহ মায়ের চিকিৎসা ব্যয় ধার-দেনা মেটাতে হয়েছে।
পেশায় দিনমজুর বাবলু একার আয়ে চলে সংসার। চিকিৎসকের পরামর্শে প্রায় দেড়দিন পর পর ১ হাজার ৫০ টাকায় কিনতে হয় গুড়া দুধ। দিনরাত পরিশ্রম করে সন্তানদের আহারের ব্যবস্থায় হিমিশিম খেতে হচ্ছে তাকে। এজন্য তার সন্তানদের খাবারের জন্য বিত্তবান ও দানশীলদের সাহায্য কামনা করেছেন তিনি।
জানা যায়, উপজেলার হালসা গ্রামের ওই দম্পতির ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে বুশরা খাতুন (১৪) ও মুতাসিমবিল্যাহ (১০) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। তারা স্থানীয় বিদ্যালয় ও মাদ্রসায় পড়ে। প্রায় ১০ বছর বিরতির পর সন্তান সম্ভাবনা হন ডলি খাতুন। গত ৭ এপ্রিল খুলনায় সিজারিয়ানের মাধ্যমে ডলি তিনটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। অপুষ্টি ও স্বল্প ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের আটদিন রাখা হয় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ)। শেষ সম্বল গরু-ছাগল বিক্রি ও ধার-দেনা করে প্রায় আড়াই লাখ টাকা চিকিৎসার ব্যয় মিটিয়েছেন তিনি।
বাবলু রহমান জানান, তৃতীয় সন্তানের কোনো আশা না করলেও একসঙ্গে কোলজুড়ে তিন পুত্র সন্তান জন্ম নেওয়ায় তিনিসহ পরিবারের সবাই খুশি। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদের (সা.) তিন প্রিয় সাহাবির নামে তিন সন্তানের নাম রাখা হয়েছে আলী, ওমর ও ওসমান। এরা সবাই সুস্থ আছে। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তিন সন্তানের মুখের আহার গুড়া দুধ (৪০০ গ্রামের প্যাকেট) ১০৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। যা তিন সন্তানের মাত্র দেড়দিন যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এ ব্যয়বহুল দুধ কিনতে গিয়ে আর্থিক সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বাবলু। সন্তানদের আহার জোগাড়ে দিনে দিনমজুর এবং বিকালের পর থেকে সেলুনের কাজ কাজ করছেন তিনি। তারপরও সংসার খরচের পাশাপাশি তিন সন্তানের দুধ কেনার টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। এজন্য দানশীল ও বিত্তবানদের পাশাপশি সরকারি-বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তার আকুতি জানিয়েছেন বাবলু রহমান।
