Logo
Logo
×

সারাদেশ

মনু ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

Icon

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১০:০৯ পিএম

মনু ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজার জেলার নদী ও হাওড়ের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মনু নদীর পানি শহরের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে সোমবার দুপুর ৩টায় বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদীর পানি ১৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে কুশিয়ারা ও ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে জেলা ও উপজেলা শহরসহ অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক ও বড় সড়ক।

মনুনদীর তীরবর্তী (বাঁধের ভেতর) অনেক স্থানে বসত ঘরেও পানি উঠেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।

এদিকে সোমবার ভোর থেকে জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বাড়লে বাঁধ ভেঙে বন্যার আশঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তাছাড়া ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসেরও শঙ্কা রয়েছে।

মনুনদী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার কাজ নয়ছয় ও গড়িমসি না করে নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ শেষ হলে বন্যার আশঙ্কা থাকত না জেলাবাসীর। মৌলভীবাজার শহর প্রতিরক্ষা আড়াই কিলোমিটার ফ্লাডওয়ালের উচ্চতা বাড়িয়ে নির্মাণ হয়েছে মাত্র ৬০০ মিটার। ফ্লাডওয়ালের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হওয়ায় শহরে ব্যবসায়ী ও বসবাসকারী নাগরিকরা বন্যার চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।

জেলার শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের পর্যবেক্ষক মো. আনিসুর রহমান জানান, মৌলভীবাজারে গত তিন দিনে ২৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি জানান, আগামী ২-১ দিন মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ জানান, উজানে ভারত অংশে বৃষ্টি না হলে পানি রাতের দিকে কমতে শুরু করবে। তাৎক্ষণিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মেরামতের জন্য প্রায় ২ হাজার বালুর বস্তা ভরাটের কাজ চলছে।

জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন জানান, জেলার ৭টি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জেলার ৭ উপজেলায় ১১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক উপজেলায় ৩ লাখ টাকা করে ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম