Logo
Logo
×

সারাদেশ

রায়পুরে আঞ্চলিক সড়ক বন্ধ করে বসেছে পশুর হাট

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০২:৪২ পিএম

রায়পুরে আঞ্চলিক সড়ক বন্ধ করে বসেছে পশুর হাট

ছবি : যুগান্তর

উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ও পশুর হাট ইজারা দেওয়ার সময় নির্দেশনা ছিল কোনো সড়কের উপর পশুরহাট বসানো যাবে না। কিন্তু সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যস্ততম আঞ্চলিক সড়ক বন্ধ করে বসানো হয়েছে পশুর হাট।

এমনকি, সড়কে একজনকে বসিয়ে যানবাহন অন্য রাস্তা দিয়ে চলাচলের যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কটি ব্যবহারকারীরা। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের উপজেলার তেরুয়া ইউনিয়নের মীরগঞ্জ বাজারের।

মীরগঞ্জ বাজারে রয়েছে চতুর্মুখী আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়কের একপাশ দিয়ে যাওয়া যায় রায়পুরে। অন্যটি দিয়ে রামগঞ্জে ও অপরটি চলে গেছে সদর উপজেলার দিকে। ব্যস্ততম এ আঞ্চলিক সড়কে বসানো হয়েছে পশুরহাট।

শুধু মীরগঞ্জ বাজার নয় উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বসানো হয়েছে পশুরহাট। রায়পুর-হায়দরগঞ্জ সড়কের নতুন বাজার এলাকা, রায়পুর-পানপাড়া সড়কের জোড়পুল, কেরোয়া ইউপির ক্লাবের সামনের সড়ক, কেরোয়া মানছুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা, বোয়াডার বাজারের সড়কে, রায়পুর-কাপিলাতুলি সড়কের কেএসপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, রায়পুর-মীরগঞ্জ বাজার সড়কের লুধুয়া ভুইয়ারহাটসহ উপজেলার ১৫টি স্থানে সড়কে ওপর বসছে গরুর হাট।

আঞ্চলিক সড়কগুলোতে হাট বসানোয় দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।

সরেজমিনে মীরেরগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, হাটটিতে শত শত ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। গরু-ছাগলের বর্জ্যে সড়ক এলাকায় তৈরি হয়েছে এক নোংরা অবস্থার। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা বর্জ্যের গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন কেউ কেউ।

আঞ্চলিক সড়ক বন্ধ করে পশুরহাট বসানো নিয়ে মীরগঞ্জ বাজার পশুরহাটের ইজারাদার মো. সোহাগ বলেন, ‘দুদিনের জন্য সড়কে হাট বসানো হয়েছে। পরে সড়ক খুলে দেওয়া হবে। যান চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে চালকদের বলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খাঁন বিষয়টি ওসিকে জানানোর পরামর্শ দেন। পরে এ প্রতিবেদক রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়াকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের কাজ না। ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত করবেন। আমরা সহযোগিতা দিব।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম