Logo
Logo
×

সারাদেশ

কুমিল্লায় ছোট এবং মাঝারি গরু বিক্রি বেশি, বড় গরু নিয়ে হতাশ

Icon

আবুল খায়ের, কুমিল্লা ব্যুরো

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১২:০৩ এএম

কুমিল্লায় ছোট এবং মাঝারি গরু বিক্রি বেশি, বড় গরু নিয়ে হতাশ

কুমিল্লায় পশুর হাটে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। ১ লাখ, দেড় লাখ টাকার গরু দেদার বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় সাইজের সাইওয়াল বেরেশ, আবাল গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিক্রেতারা।

বুধবার জেলায় শতাধিক হাটে গরু বেচাকেনা হয়েছে। তবে বাজারে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। নেতাদের দাবি বাজারে এবার পশুর মূল্য বেশি। আর বিক্রেতাদের দাবি এবার পশুর মূল্য খুবই কম।

সরেজমিন জেলার একাধিক হাটে ঘুরে দেখা গেছে, গরুর ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাক আর দর কষাকষিতে জমে উঠেছে গরু, ছাগলের হাট। উৎসবমুখর পরিবেশে কুরবানির জন্য পছন্দের পশু ক্রয় করছেন মানুষ। সব মিলে ঈদের আমেজ যেন হাটেই নেমে এসেছে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে কুমিল্লার বাজারগুলোতে। তবে দাম নিয়ে আছে ক্রেতা-বিক্রেতা মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এদিকে ঈদুল আজহার আর মাত্র ২ দিন বাকি। এরই মধ্যে একটু মুনাফার আশায় হাটে হাটে ছুটাছুটি করছেন খামারি, বেপারি ও প্রান্তিক কৃষক। তবে বাজারে কমেছে বড় আকারের গরুর দাম, উঠানামার মধ্যে রয়েছে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর দাম।

বুধবার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার পুনোরা বাজার এবং বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায় বড় গরুর তুলনায় ছোট এবং মাজারি গরুই বেশি বিক্রি হচ্ছে। 

অন্যদিকে সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লায় কুরবানির পশু দাম কম, সেই আশা থেকে পছন্দের পশু কিনতে আসছেন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ। তারা ন্যায্যমূল্যে গরু কিনতে পেরে খুশি।

কুমিল্লায় এবার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৪০৯টি পশুর হাট রয়েছে। গরু, ছাগল বেচাকেনায় সেগুলোও জমে উঠেছে। এসব হাটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে গরু-ছাগল কেনাবেচার উৎসব।

মানুষের ভিড়, দর কষাকষি আর বিক্রেতাদের হাঁকডাক সব মিলে ঈদের আমেজ যেন হাটেই আগে থেকে নেমে এসেছে। তবে হাটের তারকা দেশি জাতের মাঝারি আকারের গরু। এসব গরু দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি দামেও তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি।

প্রতিটি হাটজুড়ে আধিপত্য দেখা যায় মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর। তবে পিছিয়ে ছিল না বড় সাইজের গরুর সরবরাহও। আশপাশের খামারি, ব্যক্তিগতভাবে লালনপালন করা কৃষকদের গরু ছাড়াও বাজার গুলোতে বিভিন্ন দূরদূরান্ত থেকেও বেপারি গরু নিয়ে আসেন।

পুনোরা বাজারে পাইকারি গরু বিক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, এবার বাজারে ছোট এবং মাজারি গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমি সাইওয়াল জাতের ১২টি গরু বাজারে এনেছিলাম। একটিও বিক্রি করতে পারিনি। ক্রয় মূল্য থেকে অনেক কম দাম হাঁকাচ্ছে ক্রেতারা।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, প্রতিটি হাটবাজারে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এ পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আশা করি এবারের ঈদ উৎসবমুখর হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম