বান্দরবানের হাটগুলোতে পাহাড়ি গরুর চাহিদা বেশি
বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
ছবি : যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বান্দরবানে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুরবানি পশুর হাট। পুরোদমে চলছে বেচাকেনা। জেলার হাটগুলোতে আসা ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে পাহাড়ি গরু। খামারিদের মোটাতাজা গরুর চেয়ে পাহাড়িদের গৃহপালিত ছোট-বড় বিভিন্ন দামের গরুই বেশি কিনছে ক্রেতারা।
স্থানীয় রাজার মাঠ, কালাঘাটা, বালাঘাটা ও গোয়ালিয়াখোলা চেমীরমুখ সাঙ্গু নদীর পাড়ে বসেছে কুরবানি গরু ছাগলের হাট। জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাহাগি-বাঙালি গ্রামগুলো থেকে শত শত গরু-ছাগল বিক্রির জন্য হাটগুলোতে নিয়ে আসে স্থানীয় বিক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাটগুলোতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশু কেনাবেচা। ছোটবড় অসংখ্য গরু-ছাগল উঠেছে হাটে। খামারির মোটাতাজা পশুর চেয়ে হটগুলোতে গৃহপালিত পাহাড়ের গরু উঠেছে বেশি। ক্রেতাদের চাহিদাও গৃহপালিত পাহাড়ের গরুতে।
কুরবানির পশু কিনতে আসা হেলালউর রশিদ ও মো. মামুন বলেন, ‘কুরবানি পশু কিনতে চেমিরমুখ হাটে এসেছি। এখানে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের গরু উঠেছে হাটে। পছন্দমত গরু কিনতে পেরেছি। দামও অন্যান্য হাটের তুলনায় কম।’
বিক্রেতা গুংগুরু পাড়ার থোয়েচিং মারমা ও গোয়ালিয়াখোলার শাহাজান বলেন, ‘হাটে কুরবানির পশুর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা কম। অন্যান্য বছরের তুলনায় বাজার মন্দা। বেচা বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে না। প্রত্যাশার চেয়ে কমমূল্যে গরু বিক্রি করে দিয়েছি।’
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার বলেন, কোরবানি পশু হাটগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জাল নোট শনাক্তে এক্সপার্ট বসানো হয়েছে। হাটগুলোতে পশু কেনাবেচা ও পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
