ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কুরবানি পশুর মাংস কাটতে গিয়ে শতাধিক আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে কুরবানি ঈদের পশু জবাই করাসহ পশুর মাংস কাটতে গিয়ে প্রায় শতাধিক আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্টার বই (রোগীর তথ্যবই) থেকে এই পরিসংখ্যা জানা গেছে।
আহতদের বেশির ভাগই হাত-পায়ের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহার দিন জেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অসংখ্য কুরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। এসব পশু জবাই ও পশুর মাংস কাটতে গিয়ে মৌসুমি কিছু কসাই ও পরিবারের সদস্যরা পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে তাদের কারো হাতে, পায়ে ধারাল ছুরি আঘাতে আহত হয়। আহত প্রত্যেককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের কারো অবস্থাই গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার পাবেল মিয়া জানান, পায়ের নিচে মাংস রেখে কাটার সময় আমার পায়ে কোপ পড়ে যায়। এতে তার পায়ে ধারালে ছুড়ির আঘাত লাগে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার পায়ে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামের আহত সেলিম জানান, সকালে কুরবানি দেওয়ার পর গরুর মাংস কাটার সময় অসাবধানতা বসত আমার হাতে ছুড়ি লেগে অনেকাংশ কেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে সদর হাসপাতালে এসে ব্যান্ডেজ করার পর রক্ত বন্ধ হয়।
সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকার আরস মিয়া জানান, তিনি পেশায় রিকশাচালক। কুরবানির মাংস কাটার সময় তার হাতে ছুরি লেগে যায়। তার হাতে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শুভ্র রায় জানান, সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই কুরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আহতরা সবাই শঙ্কামুক্ত।
