ফ্যাসিস্ট মুক্ত হলেও দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র ফেরেনি: কাদের গনি

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
-6846bf275c46b.jpg)
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন কাদের গণি
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, দেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটলেও এখনো পূর্ণ গণতন্ত্র ফিরে আসেনি।
তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ সম্ভব। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার বিপ্লবী সরকার হতে পারতো, যদি তারা শপথ না নিত এবং নিজেদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে ঘোষণা না দিত। কিন্তু তারা শপথ নিয়ে সংবিধানের আওতায় এসেছে। সংবিধানের বাইরে গিয়ে তাদের কোনো কাজ করার সুযোগ নেই। তাদের দায়িত্ব এখন শুধুমাত্র রুটিন কাজ করা।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাই ইউনূস সরকারকে বলবো, আপনার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আপনি শুধু বাংলাদেশের না, বৈশ্বিকভাবে একজন সম্মানিত নাগরিক। আজ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে ভোটাধিকার হরণের কারণে। এখন আপনার দায়িত্ব জনগণের সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনের পথ উন্মুক্ত করুন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের গনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা যেকোনো সময় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। তাহলে সরকার সমস্যাটা কোথায় দেখছে? যদি আপনারা এপ্রিলেও নির্বাচন দিতে পারতেন, তবে ডিসেম্বরে বা কেন নয়? অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। তাই সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন।
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যেন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি অসম্মান না করেন। একটি নির্বাচিত সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তারাই সংস্কার করবে। এখন পর্যন্ত যা করেছেন, তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। তবে নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না।
ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির আজম চৌধুরী, দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম চৌধুরী, বিএনপি নেতা মো. ইলিয়াস, বখতিয়ার তালুকদারসহ স্থানীয় সাংবাদিক ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।