Logo
Logo
×

সারাদেশ

জাফলংয়ে প্রত্যাশার চেয়ে কম পর্যটক

Icon

মো. বিলাল উদ্দিন, গোয়াইনঘাট (সিলেট)

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০১:২৯ এএম

জাফলংয়ে প্রত্যাশার চেয়ে কম পর্যটক

পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে ভিড় দেখা গেছে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। হাজারো পর্যটকের আগমনে কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে পর্যটক সংশ্লিষ্টদের মাঝে।

তবে, অন্যান্য ঈদের চাইতে এ বছর জাফলংয়ে ঈদের দিন থেকেই প্রত্যাশা অনুযায়ী আশানুরূপ পর্যটক আসতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের দিন থেকে জাফলংয়ে কম পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। আশা করছি আগামীকাল থেকে পর্যটক বাড়তে পারে।

সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং ছাড়াও বিছনাকান্দি ও রাতারগুলসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতেও এবার প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই কম দর্শনার্থী বেড়াতে এসেছেন।

ভারতের মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়, পাথর আর ঝর্ণা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি বছরের ঈদ মৌসুমে বিপুল পরিমাণ পর্যটক বেড়াতে আসেন জাফলংয়ে। এ বছরও নানা বয়সের পর্যটকরা ছুটে এসেছেন। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী এখানে পর্যটক কম এসেছেন বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

ঈদের দিন থেকে শুরু করে সোমবার ঈদের তৃতীয় দিন দিন পর্যন্ত হাজারো পর্যটক সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে এসেছেন। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। এছাড়াও প্রকৃতির অপ্সরাখ্যাত বিছনাকান্দি ও জলারবন রাতারগুলেও ছিল পর্যটক।

সকালে সরেজমিনে জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দলবেঁধে পর্যটকরা ঘুরতে বের হয়েছেন। মেঘালয়ের পাহাড়, পাথর আর ঝর্ণার স্বচ্ছ জলের সমাহার দেখে যেন তারা মুগ্ধ হন। পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঘুরছেন আর ছবি তুলছেন। কেউ কেউ নৌকা নিয়ে মায়াবী ঝর্ণা, খাসিয়া পল্লি আর চা-বাগানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। 

জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণায় কথা হয় রাজশাহী থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা শাহাদত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার চারপাশের পরিবেশ খুব চমৎকার। জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণা যেন মন কেড়ে নিয়েছে। খুব সুন্দর একটি যায়গা। খুব ভালো লাগলো।

জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা বেড়াতে এসেছেন। তবে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পর্যটক তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। আশা করছি সামনের দিন থেকে পর্যটক বাড়তে পারে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদেও পর্যটকদের নিরাপত্তায় থানা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা কাজ করছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম