
প্রতীকী ছবি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সিকেবি রুস্তমিয়া আলিম মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী ওসমান গনি মোল্লাকে (৫৮) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত ১টার দিকে তাকে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর ভাঙ্গুড়া থানার পুলিশ চন্দিপুরের বৃদ্ধমরিচ গ্রামের বাসিন্দা
শাহাদত হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ওসমান গনি মোল্লা দীর্ঘ দুই যুগ
ধরে ওই মাদ্রাসায় নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যায়ও তিনি
দায়িত্ব পালন করতে মাদ্রাসায় যান। রাত আনুমানিক ১টার দিকে দুর্বৃত্তরা মাদ্রাসায় প্রবেশ
করে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত
অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের হেফাজতে থাকা শাহাদত হোসেনের
সঙ্গে বরিশালের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সোমবার রাতে ওই তরুণীকে নিয়ে শাহাদত
গনি মোল্লার কাছে যান। তাকে শরিয়া মতে বিয়ে পড়াতে বলেন। তবে গনি মোল্লা তাতে রাজি না
হওয়ায় শাহাদত ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল করে চলে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, এর কিছুক্ষণ পরেই শাহাদত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফিরে এসে
ওসমান গনিকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
গনি মোল্লার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ
এলাকাবাসী শাহাদতের বাড়িতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। এতে প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি
ঘর পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা
হচ্ছে, পূর্ব কোনো বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য আটক করা হয়েছে। দ্রুতই হত্যার প্রকৃত কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।’