নরসিংদীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাম চোখ হারানো তানভীর মোল্লা নিলয়কে আর্থিক অনুদানের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খানের নির্দেশে এ অনুদান দেওয়া হয়। পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেওড়া গ্রামে নিলয়ের বাড়িতে গিয়ে নগদ অনুদান তুলে দেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন। 

এছাড়া নিলয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছে পলাশ উপজেলা বিএনপি। এ সময় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন, ঘোড়াশাল শহর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের এই সাহসী যোদ্ধা ১৮ জুলাই বিকালে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকায় মিছিলে যোগ দেন। মিছিলটি কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে নরসিংদীর এনকেএম হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শহীদ তাহমিদ ভূইয়া গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে তানভীর মোল্লা নিলয়ের বাম চোখে পুলিশের ছোড়া একাধিক গুলি লাগে। মুহূর্তে তিনিও মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলার ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শিক্ষার্থীরা খবর দিলে তার বাবা হাসপাতাল থেকে নিলয়কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সন্ধ্যার পর বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর চোখের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আর্থিক অসুবিধার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেনি পরিবার। ফলে ধীরে ধীরে নিলয়ের বাম চোখটি পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে। 

এদিকে নগদ অর্থ অনুদান দিতে এসে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান যখনই জানতে পেরেছেন যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন প্রথম সারির সাহসী যোদ্ধা চিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে পড়েছে। তখনই পলাশ উপজেলা বিএনপিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন দ্রুত নিলয়কে আর্থিক সহায়তাসহ তার উন্নত চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তারই প্রতিফলন হিসেবে পলাশ উপজেলা বিএনপি নিলয়কে আর্থিক সহায়তা করাসহ তার উন্নত চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন।