
নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা একেএম জামান চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার সকালে মারা গেছেন। ঈদের দিন (৭ জুন) আহত জামানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন একজন অটোচালক। এ সময় তার মুখোমণ্ডল থেঁতলানো ও রক্তাক্ত গুরুতর জখম ছিল।
ওইদিন সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে কর্মস্থল মহাদেবপুর থেকে শ্বশুরবাড়ি উপজেলার গোফানগর গ্রামে যাচ্ছিলেন। মহাদেবপুর-নীতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ছাতুনতলী বাজারসংলগ্ন পেট্রলপাম্পের পাশে মোটরসাইকেলসহ সড়কের পাশের খাদে সংজ্ঞাহীন মৎস্য অফিসার জামানকে দেখতে পান পথচারীরা।
ধারণা করা হচ্ছে- রাস্তায় কোনো শিয়াল বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় একজন অটোচার্জার চালক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
খবর পেয়ে ওই রাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান এবং উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে দেখতে যান এবং মৎস্য কর্মকর্তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষণিক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা একেএম জামান প্রায় ১২ বছর উপজেলা মৎস্য অফিসে কর্মরত ছিলেন। তিনি উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাতুড় ইউনিয়নের গোফানগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছোট জামাতা এবং দিনাজপুর জেলা সদরের পিরোজপুর জিন্নাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।