‘কুরআন সুন্নাহর আলোকে শিল্প-কারখানা পরিচালিত হলে শ্রমিকরা মর্যাদা পাবেন’
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি শ্রমিক সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। এ আন্দোলন ছিল সমঅধিকার ও মানবতার মুক্তির আন্দোলন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক শহিদ হয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।
বুধবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি বি-আখড়া বালিকা মাঠে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে যত মানুষ শহিদ হয়েছেন, আহত হযেছেন তাদের মধ্যে শ্রমিকদের সংখ্যাই বেশি। যুগে যুগে শ্রমিক সমাজ শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে বুকের রক্ত ঢেলে প্রতিবাদ করেছে। ২৪-এর গণঅভুত্থানে শামিল হয়ে শ্রমিক সমাজ আরেকবার প্রমাণ করেছে অন্যায় শোষণ যেখানে শ্রমিক সমাজের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর সেখানে।
ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, শ্রকিরাই হলো দেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আমরা ভাব সম্প্রারণ পড়তাম পরিশ্রমই হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। আর এই শ্রমিকরাই সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রম করেন। শ্রমিকদের পরিশ্রম ছাড়া কোনো উন্নয়ন ঘটবে না। কাজেই সব উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হলেন শ্রমিকরা।
ঢাকা দক্ষিণের জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বলেন, দেশে খাদ্যদ্রব্যসহ সব কিছুর দাম বাড়লেও শ্রমিকদের দাম কখনো বাড়ে না। শ্রমিকরা তাদের অধিকার চাইলে তাদের লাঠিপেটা করা হয়। কাজেই আমাদের মনে রাখতে হবে এই দুরিয়াবি যত মন্ত্র-তন্ত্র রয়েছে, মানুষের মনগড়া যত আইন রয়েছে, এগুলো দিয়ে শ্রমিকদের মূল্যায়ন কখনই সম্ভব নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত কুরআন প্রতিষ্ঠিত না হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সুন্নাহর আলোকে সমাজ, শিল্প-কারখানা পরিচালিত না হবে- ততক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে না।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সভাপতি আল মামুন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের ঠাকুরগাঁও জেলার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহাম্মদ, সদর আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম, শহর সেক্রেটারি আব্দুল হালিম, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম প্রমুখ।
