Logo
Logo
×

সারাদেশ

২১ কেজি ওজনের সেই কোরাল মাছ জব্দ

Icon

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম

২১ কেজি ওজনের সেই কোরাল মাছ জব্দ

মাছটিসহ আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. ইব্রাহিম। ছবি: যুগান্তর

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদী থেকে জেলেদের জালে ধরা পড়া ২১ কেজি ওজনের বিশাল সেই কোরাল মাছ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। পরে মাছটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেসার্স জনতা মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. ইব্রাহিম। 

তিনি যুগান্তরকে জানান, নিঝুমদ্বীপের জেলে জামশেদ মাঝি তার আড়তে বিশাল আকৃতির কোরাল মাছটি নিয়ে আসেন। মাছটির নিলাম হয় ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে এবং মোট ২৯ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন ব্যবসায়ী আলতাফ বেপারি। এরপর মাছটি অন্যান্য মাছের সঙ্গে যাত্রীবাহী একটি ট্রলারে করে চেয়ারম্যান ঘাটে পাঠানো হয়।

তবে তমরুদ্দি ঘাটে বিরতির সময় কোস্টগার্ড মাছগুলো জব্দ করে। পরবর্তীতে মৎস্য কর্মকর্তার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মাছগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

ইব্রাহিম অভিযোগ করেন, নদী থেকে বৈধভাবে ধরা মাছ, বৈধভাবে নিলামে বিক্রি করার পরও তা জব্দ করে বিতরণ করা হলে জেলে ও ব্যবসায়ীদের জীবনধারা কঠিন হয়ে পড়বে। সাগরে অভিযান থাকলেও নদীতে তো কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। যুগান্তরসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশের পরও কোনো কার্যকর সমাধান আসেনি।

এলাকাবাসী ও জেলেদের অভিযোগ, নদী থেকে বৈধভাবে শিকার করা মাছ জব্দ করা যুক্তিসঙ্গত নয়। নিঝুমদ্বীপের বাসিন্দা মো. রাসেল বলেন, এত বড় কোরাল মাছ পাওয়ার খবরে সবার মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছিল; কিন্তু কোস্টগার্ড জব্দ করায় জেলেরা হতাশ। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরে, অথচ এর ফল পাচ্ছে না।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাব্বির রহমান জানান, মাছটি জব্দ করা হয়েছে, কারণ সেগুলোর মধ্যে সামুদ্রিক মাছ থাকার বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে, প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তা বিতরণ করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান যুগান্তরকে জানান, তিনি সেদিন ছুটিতে ছিলেন, তবে তার প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। 

তিনি বলেন, মেঘনার মোহনায় মাঝে-মধ্যেই সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়, যা ধরতে জেলেদের সমুদ্রে যেতে হয় না। তবে সামুদ্রিক মাছ ধরা ও পরিবহণের বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় কোস্টগার্ড নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম