সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে হুমকি
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মাঠ থেকে ছাগল আনতে গিয়ে তিন যুবকের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪ বছর বয়সের এক কিশোরী। ঘটনার পর অভিযুক্ত তিন যুবক গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গত বুধবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড এলাকার টুমচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয়দের আশ্বাসে ঘটনাটি চেপে যায় ভুক্তভোগী পরিবার।
কিশোরীর বড় বোন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাটি কাউকে না জানাতে চরগাজী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রহমান ও তার সহযোগী সাহাব উদ্দীন হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ভয়ে তারা তটস্থ হয়ে পড়েছেন। এমনকি নিজেদের অসহায়ত্বের কারণে তিনি থানা পুলিশকেও বিষয়টি অবগত করতে সাহস পাননি।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বাকিরা সাহস জুগিয়েছে। এসময় বিচারের জন্য পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মুঠোফোনে যুগান্তরকে জানান, ঘটনার দিন সকালে প্রতিবেশী মালেক মিয়ার বাড়ির আড়ায় তাদের একটি ছাগল বেঁধে আসে কিশোরী। দুপুর একটার দিকে ওই ছাগল আনার জন্য গেলে একই এলাকার খায়ের সর্দারের ছেলে জুয়েল (১৮), সোহরাবের ছেলে আজাদ (১৭) ও জসিমের ছেলে রাজু (১৮) কিশোরীর মুখ চেপে পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী একটি পরিবারের ছোট একটি শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেলে এলাকার সকল লোকজন ওই বাড়িতে ছুটে যান। এতে ঘটনাস্থলের আশেপাশ মানবশূন্য হয়ে পড়ে। মুলত ওই সুযোগে লম্পটরা তার মেয়ের এ সর্বনাশ করেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কিশোরীর মা আরও জানান, আমরা খুবই অসহায় গরীব মানুষ। ইজ্জতই আমাদের বড় সম্পদ। আমরা অতশত বুঝি না। এলাকার প্রভাবশালী মহিউদ্দিন ডাক্তার সালিশ বৈঠক করে উপযুক্ত বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তিনিও কথা রাখেননি।
ভুক্তভোগী কিশোরী যুগান্তরকে জানান, প্রথমে জুয়েল তাকে ধর্ষণ করে। এসময় আজাদ বাহিরে থেকে পাহাড়া দেয়। পরে রাজু এবং সবশেষ আজাদ তাকে ধর্ষণ করে। এসময় ধর্ষকদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও চার নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন যুগান্তরকে জানান, কিশোরী ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি কিশোরীর মা তাকে জানিয়েছেন। তাছাড়া এলাকার লোকজনের মাধ্যমে শুনেছেন।
তবে এ রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত রাত সাড়ে দশটার দিকে মুঠোফোনে তিনি জানান, পুলিশ এসে অভিযুক্তের ধরতে খোঁজাখুঁজি করছেন। পুলিশের সঙ্গে তিনিও রয়েছেন।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন জানান, এবিষয়ে কেউ তাকে কিছু জানায়নি। বিষয়টি তিনি এখনই শুনেছেন।
তবে এমুহুর্তে পুলিশ এলাকায় গিয়ে অভিযুক্তদের ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছেন এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, ওই পুলিশ কারা আমি তা জানি না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
