জালিয়াতি করে হাওড়ে বাঁধের টাকা তোলার অভিযোগ
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সুনামগঞ্জের ছাতকে হাওড়ের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে দুই ব্যক্তির নাম ও স্বাক্ষর জাল করে প্রায় ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লুটপাট ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রকল্পের লুটপাটের নেপথ্যে রয়েছে জাউয়াবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি, ছাতক উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এনাম উদ্দিন ওরফে এনামুল হক। তার ছেলেকে পিআইসি কমিটির সদস্য সচিব ও ইমাম হিসেবে রাখা হয়। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়েই আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
রোববার বিকালে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে উপজেলার চাউলির হাওড়ের ১৭নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সদস্য পদে নাম ব্যবহার করা দুইজন কৃষক।
অভিযোগকারীরা হলেন, জাউয়া বাজার ইউনিয়নের জাউয়া গ্রামের আবুল খয়ের ও শোয়েব আহমেদ। ১৭নং পিআইসির সভাপতি কয়েছ আহমদ পীর ও সদস্য সচিব এহসানুল হকের বাড়িও জাউয়া গ্রামে।
এটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাবিটা প্রকল্পের। উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের চাউলির হাওরের বিনন্দপুর, কোনাপাড়া, বড়বিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পটির কাজ ৯৭১ মিটার ডুবন্ত বাঁধের ভাঙন প্রতিরোধ ও মেরামত করা।
এ প্রকল্পের কমিটিতে আবুল খয়ের ও শোয়েব আহমেদ নাম রয়েছে। তারা প্রকল্প সম্পর্কে অবগত নন এবং কোনো কাগজে স্বাক্ষর ও করেনি। জালিয়াতি করে ১৭নং প্রকল্প কমিটির তালিকায় তাদের নাম ৪ ও ৫ নম্বর সদস্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের স্বাক্ষর জাল করে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে ভুয়া বিল জমা দিয়ে টাকা তোলা হয়েছে।
বাস্তবে প্রকল্পের কাজ হয়নি এবং কোথাও কোনো মাটি ভরাট হয়নি। তারা কেউ পিআইসির কোনো বৈঠকে অংশ নেননি বা কোনো বিল-ভাউচারে স্বাক্ষর দেননি।
অভিযোগে বলা হয়, পিআইসির সদস্য সচিব এহসানুল হক ও ৬নং সদস্য রেদওয়ানুল হক ফাহিম দুজনই আপন ভাই। প্রকৃত পরিচয় গোপন করে একজনকে কৃষক ও অন্যজনকে ইমাম দেখানো হয়; কিন্তু বাস্তবে একজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী, অন্যজন কখনো কোনো মসজিদের ইমাম নয়।
এ বিষয়ে ১৭নং পিআইসি সভাপতি কয়েছ আহমদ পীর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
