কুয়েত প্রবাসী যুবককে গলা কেটে হত্যায় গ্রেফতার ৫
যশোর ব্যুরো ও অভয়নগর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যশোরের অভয়নগরে কুয়েত প্রবাসী হাসান শেখ হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ জুন) রাতে নিহতের বড়ভাই মুন্না শেখ বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলাটি করেন।
গ্রেফতারকৃত ৫ জন হলেন- অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলী গ্রামের শেখপাড়া এলাকার শাহজাহান শেখের ছেলে হাসিবুর রহমান সাগর (২৯), একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত ওহাব গাজীর ছেলে জয়নাল গাজী (৩২), শেখপাড়ার মৃত মাজেদ শেখের ছেলে জিলহজ্ব শেখ (২১), একই পাড়ার ইন্তাজ আলী শেখের ছেলে হাবিবুল্লাহ ওরফে জামিল শেখ (১৯) ও তবিবুর শেখের ছেলে অহিদুজ্জামান শেখ ওরফে চঞ্চল (২৫)। এছাড়া মামলার ২ নম্বর আসামি শেখপাড়ার জাহাঙ্গীরের ছেলে ইনামুল (২৮) পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গত রোববার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মাছের ঘেরেরপাড় থেকে কুয়েতপ্রবাসী হাসান শেখের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হাসান শেখ নাউলী গ্রামের হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে। তিনি কুয়েতে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কর্মরত ছিলেন।
মামলার বাদী মুন্না শেখ বলেন, ২০১৮ সালে কুয়েতে চলে যাওয়ার পর সেখানকার একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করত হাসান। দীর্ঘ ৭ বছর পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ মাসের ছুটিতে বাড়ি ফিরে বিয়ে করে সে। এরপর উল্লেখিত আসামিদের (বন্ধু) সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত নাউলী বাজারে আড্ডা দেওয়া শুরু করে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় প্রচুর টাকা খরচ করত সে। মোটা অংকের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় বন্ধুরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসানকে গলা কেটে হত্যা করেছে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। রোববার রাতে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। হাসান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৬ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি নিজে বাদী হয়ে সোমবার রাতে অভয়নগর থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম জানান, কুয়েতপ্রবাসী হাসান শেখ হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই মুন্না শেখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এখন পর্যন্ত এই মামলায় এজাহারভুক্ত ৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইনামুল নামে একজন আসামি পলাতক রয়েছেন। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
