Logo
Logo
×

সারাদেশ

কয়রায় বেড়িবাঁধের স্লুইস গেটে ধস, আতঙ্কে এলাকাবাসী

Icon

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম

কয়রায় বেড়িবাঁধের স্লুইস গেটে ধস, আতঙ্কে এলাকাবাসী

খুলনার কয়রা সদর ইউনিয়নের সুতি বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধের শাকবাড়িয়া খালে নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্লুইস গেটে দু’পাশের মাটি সরে গিয়ে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। সোমবার সকালে ভাটার টানে ধসের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ সামান্য জোয়ারেই ভেঙে লবন পানিতে প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ জনপদ। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় পানি প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শাকবড়িয়া খালের ওপর নির্মিত সুতি বাজারের এই বড় স্লুইস গেটটি। এ গেটে ধস দেখা দেওয়ায়, কৃষিকাজে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

মঠবাড়ি গ্রামের অধিবাসী লুৎফর মোল্যা জানান, স্লুইজ গেটটি নির্মাণের পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই এমন ফাটল দেখা দেয়। গেটের দুইপাশে ভালোভাবে কাজ না করায় স্লুইসগেটটির নিচের অংশে ফাঁকা সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে হঠাৎ একপাশ ধসে পড়েছে।  

এর আগে কয়েকবার এমন ধসের ঘটনা ঘটলেও স্থায়ীভাবে কোনো সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি কর্তুপক্ষ। স্লুইসগেটটি  ধসে গেলে জোয়ারের পানিতে কয়রা, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর, বাগালী ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হবে এবং কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্লুইস গেটের ধসে যাওয়া স্থানটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছে৷ 

মহারাজপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাইদ মোল্যা বলেন, সুতি বাজার সংলগ্ন স্লুইস গেটের পাশে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। যেটা দ্রুত মেরামত করা না গেলে বড় ক্ষতির করণ হয়ে দাঁড়াবে। মেরামত না করা হলে এ স্থান দিয়ে ভেঙে গেলে মহারাজপুর ও পার্শ্ববর্তী কয়রার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে। 

কয়রা সদর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান এস এম লুৎফর রহমান বলেন, স্লুইস গেটটি নির্মাণের পর থেকে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুম আসলে ফাঁটল ও ধসের দেখা দেয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে তাৎক্ষণিক নামমাত্র কাজ করা হয়। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষের। দ্রুত মেরামত না করা হলে স্লুইস গেট দিয়ে পানি নিষ্কাশন সম্ভাব হবে না। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে কৃষকের অনেক ক্ষতি হবে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে মাঝে মাঝে স্লুইস গেটের পাশের মাটি সরে যায়। বিষয়টি জেনেছি। জরুরিভিত্তিতে ধসে যাওয়া স্থান মেরামত করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম