Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাত কোটি টাকার সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক, জনভোগান্তি

Icon

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম

সাত কোটি টাকার সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক, জনভোগান্তি

বরিশালের মুলাদীতে সংযোগ সড়ক নেই ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুতে। ফলে প্রায় আড়াই বছর ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ১০ গ্রামের মানুষ।

উপজেলার মৃধারহাট-নাজিরপুর-মাদ্রাসারহাট সড়কের নাজিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বানীমর্দন এলাকায় নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক না হওয়ায় এ ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। সেতুর এক পার্শ্বে কবরস্থান থাকায় স্থানীয়দের বাধার মুখে সংযোগ সড়কের কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ঠিকাদার।

তবে দ্রুত নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে বিকল্পপথে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী মো. তানজিলুর রহমান। 

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মৃধারহাট জিসি টু নাজিরপুর জিসিসিআর ভায়া মাদ্রাসা হাট বাংলাবাজার সড়কের পশ্চিম বানীমর্দন খালের ওপর সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৪১৮ টাকার ৬৬ মিটার দীর্ঘ সেতুটি ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদার ৮ মাস আগে মূল সেতুর কাজ শেষ করলেও স্থানীয় একটি মহলের বাধার মুখে সংযোগ সেতুর কাজ করতে পারেননি। ফলে সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। 

পশ্চিম বানীমর্দন গ্রামের মো. রবিউল হাওলাদার বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়ক না হওয়ায় গাড়ি ও মানুষজন চলাচল করতে পারছে না। ফলে বানীমর্দন, চিলমারী, চরকালেখান, ঘোষেরচর, নাজিরপুর, সফিপুর, কায়েতমারাসহ ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৮-১০ কিলোমিটার ঘুরে কাদামাটি দিয়ে মানুষজন চলাচল করছেন। 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক আব্দুল গনি জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ হস্তান্তরের জন্য ৮ মাস আগে মূল সেতুর কাজ শেষ করা হয়েছে। সংযোগ সড়ক করা সময় সেতুর পশ্চিম পাশে একটি কবরস্থান ভাঙার প্রয়োজন হয়। এতে লোকজন বাধা দেয়। তাই কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। বাধা অপসারণ হলে ১ মাসের মধ্যে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা হবে। 

উপজেলা প্রকৌশলী মো. তানজিলুর রহমান বলেন, সেতুটির পশ্চিম পাশে কবরস্থান থাকায় বিকল্প জায়গায় সংযোগ সড়ক করার জন্য সংশোধিত প্রাক্কলনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রাক্কলনটি অনুমোদন হলেই দ্রুত সংযোগ সড়ক করে সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম