Logo
Logo
×

সারাদেশ

বরগুনার সাবেক মেয়র আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম

বরগুনার সাবেক মেয়র আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বরগুনার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলনে পাওনা টাকা চাওয়ায় জীবননাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। 

বুধবার দুপুরে বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেন সাবেক মেয়র শাহদাত হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বরগুনার প্রয়াত ব্যবসায়ী জিয়াউল হাসান মিন্টু জোমাদ্দারের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার জামাতা সোহেল পঞ্চায়েত। 

ফেরদৌসী বেগম বলেন, ঈদের আগে পাওনা টাকা চাইলে জীবননাশের হুমকি দেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেনের লোকজন। 

তিনি বলেন, আমার স্বামী মৃত জিয়াউল আহসান মিন্টু জোমাদ্দার পুলিশ লাইন সড়কে থাকতেন। সাবেক মেয়র আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ও ১৯৯২ সাল হতে পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ ছিলাম। আমার স্বামী ও আমার একমাত্র ছেলে রনি জোমাদ্দার বেঁচে থাকতে সাবেক মেয়রের সঙ্গে আমার স্বামীর ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। 

সংবাদ সম্মেলনে প্রয়াত ব্যবসায়ী মিন্টুর স্ত্রী জানান, আমার স্বামী ২০১৬ সালে এবং ২০১৯ সালে দূরারোগ্য ক্যান্সারে আমার একমাত্র ছেলে রনি জোমাদ্দারের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী আমার বাসায় এসে তাদের ব্যবসার জন্য আমার কাছ থেকে প্রথমে ২০ লাখ টাকা নেন। পরে দুইবারে ৮ লাখ টাকা নেন। সর্বমোট ২৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। 

তিনি বলেন, টাকা চাইলে টাকা না দিয়ে উলটো তার বাহিনী দিয়ে আমাদের জীবননাশের হুমকি দেয়। আমরা সাবেক মেয়রের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, মিন্টু জোমাদ্দারের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমের কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমি তার জামাতা সোহেল পঞ্চায়েতের কাছ থেকে চড়া সুদে বিভিন্ন সময় ২৮ লাখ টাকা নিয়েছি। ২০২৪ সালের ১৭ এপ্রিল ৩১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৬ টাকা সুদসহ চেকের মাধ্যমে সোহেল পঞ্চায়েতকে পরিশোধ করেছি। সোহেল পঞ্চায়েত বা তার শাশুড়ি ফেরদৌসী বেগম আমার কাছে কোনো টাকা পাবে না। আমার কাছে সব ডকুমেন্টস আছে। তারা যদি আমার কাছে টাকা পায় তাহলে তাদের বলেন- আপনাদেরকে ডকুমেন্টস দেখাতে। 

সাবেক মেয়র বলেন, আমি শুনেছি সোহেল পঞ্চায়েত তার শাশুড়ির কাছ থেকে টাকা এনে আমার কাছে সুদে দিয়েছেন। আমি সোহেল পঞ্চায়েতকে টাকা দেওয়ার পরে সেই টাকা তিনি শাশুড়িকে না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম